ঢাকাঃ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সব নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। ইভ্যালির সম্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞার আদেশের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে আগামী ১১ অক্টোবর জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রারকে আদালতে সব নথি দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
এর আগে একজন ক্রেতা ইভ্যালিতে পণ্য অর্ডার করার পাঁচ মাস পরও তা বুঝে না পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, ই-ক্যাব, ভোক্তা অধিকারে বারবার অভিযোগ করেন। কিন্তু তাতে কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এজন্য একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিবাদীদের নোটিশের জবাব দিতে হবে।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ (কোম্পানি) ইভ্যালির একজন গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
গ্রাহকের আবেদনে বিবাদী করা হয় ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, কনজ্যুমার রাইটস প্রটেকশন ব্যুরো, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে।
উল্লেখ্য, ই-কমার্স প্ল্যাটফরম ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল দম্পতি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রাহক আরিফ বাকের ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন। ওইদিন বিকালেই রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে রাসেল দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
১৭ সেপ্টেম্বর এ মামলায় প্রথম দফায় রাসেল দম্পতির তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। দ্বিতীয় দফায় গত ২১ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা মামলায় রাসেলের একদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। একইদিন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আগামী নিউজ/বুরহান