ঢাকাঃ সুপেয় পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে দূষিত পানি রোধে ওয়াসা কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বা নিচ্ছে এবং এ বিষয়ে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা কী তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে ওয়াসার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। ওয়াসার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম এম মাসুম।
এর আগে ২০১৯ সালে ৭ জুলাই পানি পরীক্ষায় আদালতের নির্দেশে গঠিত চার সদস্যের কমিটির প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সেই প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার ১০টি বিতরণ জোনের পানিতেই ব্যকটেরিয়াজনিত দূষণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
সমন্বিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা ওয়াসার ১০টি বিতরণ জোনের পানিতেই ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষণ পাওয়া গেছে। এছাড়া কমিটি ঢাকা ওয়াসার ১০টি বিতরণ জোনের বিভিন্ন এলাকা থেকে দৈবচয়ন ও দূষণের অভিযোগ রয়েছে এমন ৩৪টি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ৮টি নমুনাতে ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষণ পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিতরণ জোন-১ এর পুরান ঢাকার পাতলাখান লেন, ৪-এর মিরপুরের কাজীপাড়া ও বিতরণ জোন-৭ এর শনির আখড়া, দনিয়া থেকে সংগ্রহ করা পানিতে কলিফর্ম পাওয়া গেছে।
১৬ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে পানি পরীক্ষা বিষয়ক একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করার আদেশ দেন। পরে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
কমিটির সদস্যরা হলেন-আইসিডিডিআরবি’র জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মনিরুল আলম, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম বদরুজ্জামান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সাবিতা রিজওয়ানা রহমান।
পানি পরীক্ষায় আদালতের নির্দেশে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার ১০টি বিতরণ জোনের ৩৪টি নমুনার মধ্যে আটটি পানির নমুনায় ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।