সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট আগস্ট ১৭, ২০২১, ০৪:৪২ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা: সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে প্রকাশিত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে হলফনামা আকারে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। 

জনস্বার্থে আনা এক রিট পিটিশনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার(১৭ আগস্ট) এই আদেশ দেন। সংশ্লিষ্টদের তিন মাসের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে হলফনামা আকারে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে প্রকাশিত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে সংশ্লিষ্টদের নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং গত ১ অগাস্ট গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না; তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। 

অর্থ সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যংকের গভর্নর, ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের ডেপুটি গভর্নর, সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবির এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

আগামী ১৭ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য রাখা হয়েছে। 

রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান।

মনজিল মোরশেদ বলেন, আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হলেও দুদক বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অথচ এমন অভিযোগ উঠলে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ৪৬ ধারায় এবং দুদক আইন ২০০৪ এর ১৯ ধারায় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা থাকলেও দুদক বা বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে অপসারণ করে তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থে  আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে রিট আবেদনটি করা হয়।

মনজিল মোরশেদ বলেন, সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে প্রকাশিত  দুর্নীতির বিষয় তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদকের কাছে আবেদন করেও সাড়া না পাওয়ায় সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়। 

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এর পক্ষে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, এডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভুইয়া ও মো. মাহবুবুল ইসলাম।