ঢাকাঃ অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা করে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে সিআইডির (পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ) করা মামলার একদিন পরই বুকে ব্যথা নিয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।
গতকাল রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) অবৈধভাবে এ বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচারের তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে সিআইডি।
আজ সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে সম্রাটকে হৃদরোগ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মহসীন হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের চিকিৎসার জন্য বোর্ড মিটিং শুরু হয়েছে। মিটিং শেষে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তিনি বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউ-১ এ বেডে ভর্তি আছেন। অধ্যাপক ডা. মহসিন হোসেনের অধীনে চিকিৎসাধীন এ যুবলীগ নেতার হার্টের ভাল্ব ইতোপূর্বে প্রতিস্থাপন করা হয়।
হাসপাতাল সূত্র আরও জানিয়েছে, আপাতত তার হার্টে তেমন কোনও সমস্যা নেই।
সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দায়েরের বিষয়ে সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-মিডিয়া) জিসানুল হক ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘কাকরাইলের বাসায় অবস্থান করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত ১৯৫ কোটি টাকা সহযোগী এনামুল হক আরমানের (৫৬) সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।’
ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযান চলাকালে গেল বছরের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এরপর তার বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দুটি ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আরও একটি মামলা দায়ের করে। গতকাল মানি লন্ডারিং আইনের নতুন মামলা দায়েরের মধ্য দিয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে এখন মোট ৪টি মামলা দায়ের হলো।
আগামীনিউজ/জেহিন