পিরোজপুরে সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুরের পরে বিচারক প্রত্যাহারের ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে এনেছেন সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী।
বুধবার (৪ মার্চ) সকালে নজরে আনার পর বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোম্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছেন-এটা প্রধান বিচারপতির নজরে আনেন। কি হয়েছে আমরা জানি না। প্রধান বিচারপতি জিএ(জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) কমিটির প্রধান।
বিষয়টি আলাদাভাবে হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী শিশির মনির ও ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটন।
এদিকে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বিষয়টি বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চার ঘণ্টার মধ্যে জেলা জজকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা। রিলিজ করে তার অধীনস্থ একজন যুগ্ম জেলা জজকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু সারা দেশে যারা জেলা জজ আছেন তারা মানসিকভাবে কি চিন্তা করছেন। এটা নজের আনছি। আমি বলেছি-প্রধানমন্ত্রী যে চেষ্টাটা করে যাচ্ছেন যে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য যতটুকু পারা যায়, চেষ্টাটার মধ্যে এটা কি একটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না? এটা সরকারকে কি এটা বিব্রত করছে না? আমি বলেছি এটা আপনারা (হাইকোর্ট) ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করলে করতে পারেন। তখন তিনি (আদালত) জেনারেল রিটে যেতে বললেন। আমি দেখি আরো খবর নিয়ে।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নানের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পিরোজপুর-১ (নাজিরপুর, পিরোজপুর সদর ও নেছারাবাদ) আসনের সাবেক এমপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী লায়লা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ আদেশের পর জেলা দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান তার দায়িত্ব যুগ্ম জেলা দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনকে বুঝিয়ে দেন। পরে ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ নাহিদ নাসরিন তার ক্ষমতা বলে তাদের জামিন দেন।
আগামীনিউজ/হাসি