খালেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলায় চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ‌ ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০, ০১:১৫ পিএম

ঢাকা: আয়ের উৎস অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, সংঘবদ্ধভাবে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং ক্যাসিনো ব্যবসা-বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলায় চার্জশিট দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নিম্ন আদালতে এই চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি। সিআইডির মুখপাত্র ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চার্জশিটে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, তার দুই ভাই মাসুদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও হাসান মাহমুদ ভূঁইয়া, হারুন রশিদ, শাহাদৎ হোসেন উজ্জ্বল ও মোহাম্মদ উল্ল্যাহ খানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

সিআইডি জানায়, তদন্তে আসামি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ভ্রমণ বৃত্তান্ত ও পাসপোর্ট পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি পাসপোর্টে কোনো বিদেশি মুদ্রা এন্ডোর্সমেন্ট করা ছাড়াই বহুবার বিদেশ গিয়েছেন। তিনি বিদেশে যাবার সময় নগদ বিদেশি মুদ্রা পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যেতেন বলে জানা যায়।

তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, আসামি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার পাসপোর্টে একটি মালয়েশিয়ান ভিসা পাওয়া গেছে। ভিসায় ‘এমওয়াইএস মাই টু হোম’ লেখা আছে যা ‘সেকেন্ড হোম ভিসা’নামে অধিক পরিচিত। এই ভিসা গ্রহণের শর্ত হিসেবে মালয়েশিয়ার আরএইচবি ব্যাংকে ৩ লাখ রিঙ্গিত (১ রিঙ্গিত সমান ২০ টাকা ৫০ পয়সা) এফডিআর করা আছে। খালেদ নিয়মবর্হিভূতভাবে এই টাকা মালয়েশিয়ায় পাচার করেছেন।

খালেদ ও তার কোম্পানির নামে ব্যাংক হিসাব থাকার প্রমাণ হিসেবে ইউওবির ডেবিট কার্ডও জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া তার নামে থাইল্যান্ডের ব্যাংঙ্কক ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্টে ২০ লাখ টাকার সমপরিমাণ থাই বাথ জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

আসামির ব্যাংকক ব্যাংকে আরো দুটি ডেবিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। সহযোগী আসামি মোহাম্মদ উল্লাহ তার নির্দেশে বিদেশি মুদ্রা ক্রয় করেন বলে জানা যায়। তিনি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। 

তদন্তে আরো জানা যায়, আসামি মোহাম্মদ উল্লাহ ২০১২ সাল থেকে আসামি খালেদের নির্দেশে তার অপরাধলব্ধ আয় গ্রহণ করে খালেদের ভাই মাসুদ মাহমুদ ভূঁইয়া সঙ্গে গিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক যেমন-এনসিসি ব্যাংকের মতিঝিল শাখা এবং ব্র্যাক ব্যাংক মালিবাগ শাখায় জমা দিতেন।

আসামি মোহাম্মদ উল্লাহর বিরুদ্ধে আসামি খালেদের অপরাধলব্ধ আয় গ্রহণ, ব্যাংকে জমা এবং পাচারের জন্য অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা ক্রয় করার মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ে সহায়তা করার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়ছে।

তদন্তে অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আসামি খালেদের সকল অপরাধ কার্যের প্রত্যক্ষ সহযোগী ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।


আগামীনিউজ/হাসি