সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু তাঁর সংগ্রামী সতীর্থদের নিয়ে যখন দেশের প্রশাসনিক আর অবকাঠামো পুনর্গঠনে ব্যস্ত ঠিক তখনই সাহায্যের নামে এগিয়ে আসে জাতিসংঘ ও ইউরোপ- আমেরিকার বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা। এসবের আড়ালে দলে-দলে খ্রিষ্টান পাদ্রীরা প্রবেশ করে যুদ্ধ বিধ্বস্ত–বুভুক্ষ বাংলাদেশে।
ক্ষুধা, রোগশোক, যুদ্ধ ভয়ে মানসিক বিকলাঙ্গতায় মানুষ যখন জর্জরিত পাদ্রিরা যখন যীশুর নামে তাদের হাতে তুলে দিতে লাগল রুটি, বিস্কুট,পারুটি, কলা আর ও কত খাদ্য সামগ্রী। এভাবেই দরিদ্র মানুষকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা শুরু। তারা দেশের সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে তুলল গির্জা, হোস্টেল বা শেল্টার হোম যেখানে মুলতঃ বাস করে দেশের নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী যাদের কোন ধর্ম নেই তারা প্রকৃতি পুজারী।
বিভিন্ন অপ- কৌশলে এভাবেই দেশের সীমান্ত অঞ্চলে ঘাটি গাড়ে তারা। ব্যক্তিগত ও সামাজিক সেবার নামে দেশের নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীকে খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত করার মিশন এমনটিই । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার আড়ালে তারা খ্রিস্ট ধর্মের বিধিবিধান চালু করে। দেশের ব্যাপক নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী তাদের ধর্মে দীক্ষিত হয়।
অপরদিকে জাতিসংঘের শিক্ষা বিভাগ দেশের শিক্ষা কারিকুলাম পুনঃ গঠনের দায়িত্ব নেয় । সেখানেও ঢুকে পরে পাদ্রিদের এজেন্ট। তারা কারিকুলাম থেকে নৈতিক শিক্ষার পাঠগুলো ফেলে দেয় যাতে করে এই জাতি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হতে পারে।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে- যেমন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, নেত্রকোনার শোসন দুর্গা পুর, সুনামগঞ্জের নারায়ন তলা, বৃহত্তর বরিশালের পাথর ঘাটা, সাতক্ষিরা ,পার্বত্য চট্টগ্রাম,উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন এলাকাসহ দেশের অন্যান্য এলাকায় তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,হোস্টেল, গির্জা বা চার্চ খুলে ব্যাপক ভাবে ধর্ম্যান্তকরন করতে থাকে যা এখন ও চলমান । শিশু, কিশোর- কিশোরী, যুব সবাইকে কে শিক্ষা অবস্থায় বা শেষে বিদেশে পাঠিয়ে দেয় যাতে করে তারা চিরতরে খ্রিস্টান হয়ে থাকে।
পার্বত্য অঞ্চলের কুকী সম্প্রদায়ের সবাই আজ বোম নামে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হয়ে গেছে ।