আর কত দিন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি অভিযান চলবে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩, ০৩:২৭ পিএম
এখনও পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৮ হাজার ৭৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: আল-জাজিরা

ঢাকাঃ গাজায় আর কত দিন পর্যন্ত ইসরায়েল তাদের সামরিক অভিযান চালাবে তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা গেছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘ইসরায়েলের গাজা অভিযান আরও কয়েক মাস চলবে।’

এদিকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের নতুন হিসাব দিয়েছে হামাস। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সেখানে এখনও পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ১৮ হাজার ৭৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বহু নারী এবং শিশু আছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাফাহ সীমান্তে ছয় ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যতই কূটনৈতিক চাপ থাক, গাজার লড়াই এখনই বন্ধ করবেন না তিনি।

নেতানিয়াহু উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ জয় না পাওয়া পর্যন্ত গাজা অভিযান বন্ধ হবে না। বহির্বিশ্ব যতই চাপ দিক, তিনি এই লড়াই চালিয়ে যাবেন। হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করাই তার একমাত্র লক্ষ্য। 

বস্তুত, বৃহস্পতিবারই হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। তার সঙ্গে বৈঠকের পর নেতানিয়াহুর অফিস একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, 'আমার মার্কিন বন্ধুকে জানিয়েছি, আমাদের সাহসী যোদ্ধাদের লড়াই ব্যর্থ হতে দেব না।' বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'যে সেনা জওয়ানদের আমরা হারিয়েছি, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।' হামাসকে খতম না করা পর্যন্ত এই লড়াই চলবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে নেতানিয়াহুর অফিস।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন প্রতিনিধি ইসরায়েলকে কঠিন প্রশ্নও করেছেন। যে পদ্ধতিতে ইসরায়েল এখন গাজায় অপারেশন চালাচ্ছে, তা বদল করা সম্ভব কিনা, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। কিন্তু ইসরায়েল জানিয়েছে, এই পদ্ধতিতেই আপাতত তাদের সামরিক অভিযান চলবে।

ইসরায়েল এ দিন আরও একবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের ধারণা, গাজা স্ট্রিপে সমস্ত হামাস নেতাকে খতম করতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে। বস্তুত, গাজার একাধিক সুড়ঙ্গে সমুদ্রের পানি ঢোকাতে শুরু করেছে ইসরায়েলের সেনারা। এর ফলে হামাস নেতারা সুড়ঙ্গ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হবেন বলে তাদের ধারণা।

সূত্র : রয়টার্স, এপি

এমআইসি/