গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৩১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ১৪, ২০২৩, ০৯:১৩ এএম

ঢাকাঃ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েল প্রায় নিয়মিতই গাজার অভ্যন্তরে শরণার্থী শিবিরগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে এবং এই হামলা সেটিরই সর্বসাম্প্রতিক উদাহরণ। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে।

ওয়াফা বলছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া হামলায় আরও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, শরণার্থী শিবিরের ভেতরে জাবালিয়া সার্ভিসেস ক্লাবের কাছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ১২টি বাড়ি লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয় এবং এতেই হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে।

মূলত গত বেশ কয়েকদিন ধরে ইসরায়েল গাজার অভ্যন্তরে শরণার্থী শিবিরগুলোতে অসংখ্য হামলা চালিয়েছে। সেগুলোও আবার প্রায়শই এমন সব এলাকায় যা অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ কিছু এলাকা বলে পরিচিত।

ইসরায়েল অবশ্য বরাবরই দাবি করে আসছে, সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের কমান্ডারদের লক্ষ্যবস্তু করছে তারা। যদিও ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে টানা তিন দিন জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা চালায় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সেসময় জানিয়েছিল, জাবালিয়ায় ইসরায়েলি সেই হামলায় ১৯৫ জন নিহত এবং আরও ১২০ জন নিখোঁজ হয়ে গেছেন।

এছাড়া প্রায় একই সময়ে গাজা ভূখণ্ডের বুরেজ শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি।


এমআইসি