ঢাকাঃ বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে ২০১৫ সালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হন জাস্টিন ট্রুডো। তবে নানান কারণে সেই জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। গত কয়েক বছর ধরে তার প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন কমছে; অপরদিকে সমর্থন বাড়ছে বিরোধী দলগুলোর।
সাম্প্রতিক সময়ে চালানো বেশ কয়েকটি জরিপে দেখা গেছে, ট্রুডোর সমর্থন শুধু কমতির দিকেই আছে।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডোকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি দলীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করবেন কি না?
এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রুডো বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন আরও দুই বছর দূরে। আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি। এই কঠিন সময়ে কানাডিয়ানদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা বাকি রয়ে গেছে। আর আমি এই কাজ করার ক্ষেত্রে উদ্যমী ও নিরলস রয়েছি।’
২০১৫ সালে ট্রুডোর নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে লিবারেল পার্টি। এরমাধ্যমে কনজারভেটিভ নেতৃত্বাধীন সরকারের এক যুগেরও বেশি সময়ের শাসনের অবসান হয়। তবে মুদ্রাস্ফীতি, বাসস্থানের উচ্চমূল্য এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে তার জনপ্রিয়তা অনেক কমে গেছে।
চলতি বছরের আগস্টের শেষ দিকে অ্যাবাকাস ডাটা পোলসের জরিপে ৫৬ শতাংশ কানাডিয়ান মতামত দিয়েছিলেন ট্রুডোর পদত্যাগ এবং অন্য কাউকে দলের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। তবে এই জরিপে অংশ নেওয়া ২৭ শতাংশ ট্রুডোর পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
এ মাসে কানাডার গবেষণা সংস্থা আঙ্গুস রেইড ইনস্টিটিউটের জরিপে উঠে এসেছে, ৬৩ শতাংশ মানুষ আর ট্রডোকে দলের নেতৃত্বে অর্থাৎ আগামী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রুডোর নেতৃত্বে লিবারেল পার্টি যদি আগামী নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে এই দলটির ক্ষমতায় আসার বিষয়টি কঠিন হয়ে যেতে পারে।
সূত্র: আল জাজিরা
এমআইসি