যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে দাবানলে মৃত বেড়ে ৮৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ১৩, ২০২৩, ০১:৩৩ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঞ্চলের মাউই দ্বীপে ভয়াবহ দাবানলে নিহত বেড়ে ৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও খোঁজ মিলছে না অন্তত এক হাজার মানুষের। তাদের অনুসন্ধানে চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী বাহিনী। ইয়াহু নিউজের খবরে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে হাওয়াইয়ের গভর্নর জোশ গ্রিন বলেছেন যে, প্রায় এক হাজার লোকের খোঁজ মিলছে না। তাদের অনুসন্ধান ও পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে।

দেশটির বিগত এক শ বছরের ইতিহাসে দাবানলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মাউই কাউন্টি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুসারে ৮৯ জন নিহত হয়েছেন। এর আগে, আজ থেকে এক শ বছরেরও বেশি সময় আগে সংঘটিত এক ভয়াবহ দাবানলে ৮৫ জন নিহত হয়েছিল। ১৯১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে ওই দাবানল সংঘটিত হয়েছিল।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, মাউই কাউন্টি ফেসবুকে একটি গ্রাফিক শেয়ার করেছে। সেখানে আগুনে ক্ষতি ও পুনঃনির্মাণের আনুমানিক খরচ প্রাথমিকভাবে ৫.৫২ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। 

উদ্ধার ও সন্ধান তৎপরতা চালু রয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আরও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কর্তৃপক্ষ আশপাশের এলাকাগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের সড়কপথ। এ ছাড়া দ্বীপটিতে যাঁরা বেড়াতে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন, তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

দাবানল থেকে রক্ষা পাওয়া বাসিন্দা মেসন জার্ভি বলেছেন, এটা আমার দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এতে সম্পূর্ণ লাহাইনা শহর পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে।

শহরের গভর্নর জোশ গ্রিন বলেছেন, মাউই দ্বীপের প্রধান আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট লাহাইনার বেশিরভাগ এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। এখানে শত শত স্থানীয় পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

হাওয়াইয়ের এই দ্বীপটিতে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ধনী ব্যক্তি বাস করেন, যার মধ্যে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসও রয়েছেন। তিনি ও তার সঙ্গিনী লরেন সানচেজ এরই মধ্যে দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০ কোটি ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

ভয়াবহ দাবানলটির সূত্রপাত হয়েছিল গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট)। পরে সেটি হারিকেন ডোরার প্রভাবে তৈরি হওয়া প্রচণ্ড বাতাসে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার পর্যটককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। তবে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এখনো অনেকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

গভর্নর গ্রিনের মতে, হাওয়াই রাজ্যের ইতিহাসে এটিই সম্ভবত সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়।

বুইউ