৫৯ বছরে অষ্টম সন্তানের বাবা হলেন বরিস জনসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ১২, ২০২৩, ১২:০৬ পিএম

ঢাকাঃ আবারও বাবা হয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) তার স্ত্রী ক্যারি ইনস্টাগ্রামে নবজাতককে কোলে নিয়ে একটি ছবি পোস্ট করে এ তথ্য জানান। সাবেক এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বয়স এখন ৫৯ বছর এবং এ নিয়ে অষ্টম বারের মতো বাবা হলেন তিনি।

তবে এই দম্পতির ঘরে এটি তৃতীয় সন্তান। বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আবারো বাবা হয়েছেন। তার স্ত্রী ক্যারি মঙ্গলবার বলেছেন, দম্পতি হিসেবে তাদের তৃতীয় সন্তান এবং সাবেক এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অষ্টম সন্তান গত ৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করে।

মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে নবজাতক সন্তানের ছবি পোস্ট করেছেন জনসনের স্ত্রী ক্যারি। ওই পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বে স্বাগতম ফ্রাঙ্ক আলফ্রেড ওডিসিয়াস জনসন। গত ৫ জুলাই সকাল ৯.১৫ মিনিটে তার জন্ম হয়েছে।’

প্রাচীন গ্রীক পুরাণের প্রতি জনসনের ভালোলাগার বিষয়টি উল্লেখ করে ক্যারি কৌতুক করে বলেন, ‘আপনি কি অনুমান করতে পারেন আমার স্বামী কোন নামটি বেছে নিয়েছেন?! আমি ঘুমন্ত শিশুদের ভালোবাসি। আমার বড় দুই সন্তানকে তাদের নতুন ভাইকে পেয়ে যেভাবে আনন্দিত হতে দেখেছি তাতে আমরা খুবই খুশি হয়েছি। আমরা সবাই খুব আনন্দিত।’

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের এপ্রিলে বরিস জনসন ও ক্যারির সংসারে প্রথম ছেলে উইলফ্রেডের জন্ম হয়। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের পর এর পরের বছরের মে মাসে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। এরপর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটিশ এই দম্পতির সংসারে দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নেয়।

ক্যারির সঙ্গে সংসার শুরুর আগে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আরও দু’টি বিয়ে করেছিলেন। সেই দুই সংসারে তার কতজন সন্তান আছে, সে বিষয়ে জানাতে অস্বীকার করেন বরিস। তবে দ্বিতীয় স্ত্রী আইনজীবী ম্যারিনা হুইলার ঘরে তার চার সন্তান আছে।

২০২০-২১ সালে করোনা মহামারি চলাকালে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি ছিল। তখন লকডাউনের বিধি ভেঙে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস নিজ কার্যালয়ে একাধিক পানাহারের আয়োজন করেন, যা নিয়ে তাঁকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। এ বিষয়টিই ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত। এসব অভিযোগকে কেন্দ্র করে বরিসকে ২০২২ সালের ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হয়। পরে ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় দেওয়া এক তদন্ত প্রতিবেদনের জেরে গত ৯ জুন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সদস্য (এমপি) পদ থেকেও পদত্যাগ করেন বরিস জনসন।

বুইউ