ঢাকাঃ সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত এবং কারাবন্দি গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির একটি আপিলের শুনানি হবে মিয়ানমারের সুপ্রিম কোর্টে। চলতি সপ্তাহেই এই শুনানি হবে বলে জানা গেছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন জান্তা সুচির বিরুদ্ধে যে একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে, সেসবের মধ্যে দু’টি অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনজীবীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন সু চি। তার মধ্যে আপাতত একটির শুনানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিয়ানমারের সর্বোচ্চ আদালত।
২০২১ সালে সামরিক বাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম দেশটির রাজনীতি ও ক্ষমতা কাঠামোতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হলো। মিয়ানমারে বর্তমান জান্তা শাসনামলে এটি একটি বড় ঘটনা।
২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমেক্রেসি (এএলডি) সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতাগ্রহণ করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং সেই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন।
ক্ষমতা দখলের পর অজ্ঞাত এক কারাগারে বন্দি করা হয় সু চিকে। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আনা হয় দুর্নীতি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অভিযোগ। রাজধানী নেইপিদোর একটি সামরিক আদালতে সেসব অভিযোগের বিচার চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি অভিযোগে তাকে ৩৩ বছরের সাজার ঘোষণাও দিয়েছে নেইপিদোর সামরিক আদালত।
সু চির পক্ষে লড়ার জন্য যদিও আইনজীবীদের অনুমতি দিয়েছে জান্তা, তবে সেই আইনজীবীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেন না মিয়ানমারের এই গণতন্ত্রপন্থী নেত্র। ভিডিও কলের মাধ্যমে নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী এই নেত্রীকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে গত দু’বছরে বেশ কয়েকবার জান্তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন পশ্চিমা রাষ্ট্র, কিন্তু জান্তা তাতে কর্ণপাত করেনি।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত জানার প্রতিক্রিয়া চেয়ে জান্তা মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, কিন্তু কোনো মুখপাত্র কথা বলতে রাজি হননি।
এমআইসি