মালিতে শান্তি মিশন বন্ধ করল জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ১, ২০২৩, ০১:৪৪ পিএম

ঢাকাঃ পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে শান্তি রক্ষা মিশন আর না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদ। শুক্রবার পরিষদের সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

দুই সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই মালির সামরিক জান্তা দেশটি থেকে ১৩ হাজার শান্তিরক্ষীর শক্তিশালী বাহিনীকে অবিলম্বে চলে যেতে বলে। এরপরই এমন পদক্ষেপ নিল জাতিসংঘ।

পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে আফ্রিকার দুর্দশাগ্রস্ত দেশটির সম্পর্কে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নিরঙ্কুশ ভোটে মালি থেকে শান্তিরক্ষা বাহিনী তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। 

শান্তিরক্ষা বাহিনী যে দেশে কাজ করবে সেই দেশের সরকারের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে জাতিসংঘের নীতিমালায়। এ কারণে মালিতে মিশন রাখার সুযোগও নেই।

মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুলায়ে দিওপ সম্প্রতি শান্তিরক্ষা মিশন তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান। সেসময় তিনি এ মিশনকে ‘ব্যর্থ’ বলেও আখ্যায়িত করেন। এরপরই নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয়।

২০২০ সালের সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সামরিক শাসন শুরুর পর থেকেই মূলত জাতিসংঘের সঙ্গে মালির সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। মালির সাবেক উপনিবেশ দেশ ফ্রান্সের সঙ্গেও প্রতিরক্ষা বিষয়ক পারস্পারিক সহযোগিতায়ও ঘাটতি দেখা দেয়।

রাশিয়ার ভাড়াটে আধা সামরিক বাহিনী ওয়াগনারের সঙ্গে ২০২১ সালে মিত্রতা করে মালি সরকার। তার পর থেকেই সেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনকে একের পর এক বিধিনিষেধের মুখোমুখি হতে হচ্ছিল। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই এবার বন্ধ হচ্ছে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ মিশনটি।

এ বিষয়ে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মালি থেকে শান্তিরক্ষীদের তাড়াতে কলকাঠি নাড়ছে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন। ওয়াশিংটন বলেছে, মালি কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের শেষের দিক থেকে এ পর্যন্ত ওয়াগনারকে ২০ কোটি ডলার দিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘যে জিনিসটি বেরিয়ে আসেনি তা হচ্ছে, ওয়াগনারের স্বার্থ রক্ষা করতেই সেনাদলটির প্রধান প্রিগোশিন শান্তিরক্ষা মিশনকে মালি থেকে সরিয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছেন।’

বুইউ