ঢাকাঃ ভারতের মণিপুর রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া জাতিগত সহিংসতা চলছেই। মে মাসের প্রথম দিকে শুরু হওয়া এ সংঘাত রুখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হলেও তা দিন দিন আরও ছড়াচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার রাতেও সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে রাজধানী ইম্ফালে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দুই নেতার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
এছাড়া রাজ্যের বিষ্ণুপুর বিভাগের কোয়াকতায় এবং চূড়চন্দ্রপুর বিভাগে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে গুলি ছোঁড়ার শব্দও শোনা গেছে।
বিক্ষোভকারীরা পূর্ব ইম্ফালের ইরিংবাম পুলিশ স্টেশন থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে তারা এতে সফল হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
বিক্ষোভকারীরা যেন জড়ো হতে না পারেন সেজন্য সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী আসাম রাইফেলস এবং পুলিশ মধ্যরাত পর্যন্ত টহল দেয়।
তা সত্ত্বেও প্যালেসের প্রাঙ্গনে প্রায় ১ হাজার মানুষ জড়ো হয়ে যান। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ওই সময় রাবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়।
বিক্ষোভকারীদের একটি দল রাজ্যের বিধানসভার আইনপ্রণেতা ও বিজেপি নেতা বিশ্বজিতের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু যৌথ বাহিনী তাদের সরিয়ে দিতে সমর্থ হয়।
আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারির পরও মধ্যরাতে আরেকটি দল সিঞ্জেমাইতে অবস্থিত বিজেপির অফিস জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে ওই সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল চলে আসলে তারা সরে যেতে বাধ্য হয়।
একইভাবে মণিপুর বিজেপির নারী প্রেসিডেন্ট সার্দা দেবির বাড়িতে ভাঙচুরের চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরও সরিয়ে দিতে সমর্থ হন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
এমআইসি