ঢাকাঃ গত ২০২২ সালে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার সাগর ও স্থলপথ দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর, যা গত ২০১৭ সালের পর ওই রুটে সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যুর রেকর্ড। জাতিসংঘের অভিবাসন সংক্রান্ত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য।
আইওএম এর বিশেষ প্রকল্প মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রোজেক্ট (এমএমপি) ২০২২ সালের ১২ মাসে মধ্যপ্রা্যে ও উত্তর আফ্রিকার সাগর ও স্থলরুটে ৩ হাজার ৭৮৯ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করেছে বলে মঙ্গলবারের বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংক্রান্ত সংস্থা। মৃত এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উল্লেখযোগ্য অংশই নিখোঁজ অবস্থায় আছেন।
এর আগে ২০১৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের পথে নিহত হয়েছিলেন ৪ হাজার ২৫৫ জন অভিবাসন প্রত্যাশী। তারপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ২০২২ সালে। আইওএমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে এই রুটে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যু বেড়েছে ১১ শতাংশ।
মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব আফ্রিকার দেশ মিশর, লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ইতালি, গ্রিস ও স্পেনের উদ্দেশে রওনা দেন অভিবাসীরা। এই অভিবাসীদের অধিকাংশকেই আবার মিশর, লিবিয়া ও তিউনিসিয়া পৌঁছানোর জন্য পাড়ি দিতে হয় বিপদসঙ্কুল সাহারা মরুভূমি।
স্থলপথে সর্বোচ্চ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু ঘটেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের রুটগুলোতে। আওএম জানিয়েছে, ইয়েমেনের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।
এছাড়া ২০২২ সালে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যুর হারও বিগত বছর গুলোর তুলনায় বেশি ছিল বলে জানিয়েছে আইওএম।
‘ভূমধ্যসগারে ডুবে যারা মারা গেছেন, তাদের ৮৪ শতাংশই হয় নিখোঁজ হয়েছেন— নয়তো শনাক্তের বাইরে থেকেছন। তদের অনেকের পরিবারের সদস্যরা এখনও স্বজন ফিরে পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে আছেন,’ বলা হয় আইএমও’র বিবৃতিতে।
সূত্র : রয়টার্স
এমআইসি