পশ্চিমা উদ্বেগকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে চীন-সৌদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ১১, ২০২৩, ১১:০১ পিএম
সংগৃহীত ছবি

ঢাকাঃ সৌদি আরব চীনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বরং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করতে চায়। রোববার সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন সালমান এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সৌদি-চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের বিষয়ে পশ্চিমা সন্দেহকে পাত্তা দেন না তিনি।

বিশ্বের বৃহত্তম জ্বালানির ভোক্তা দেশ চীনের সাথে সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন মোড় নিয়েছে। তবে রিয়াদ ও বেইজিংয়ের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা রাজনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি নিরাপত্তা ও সংবেদনশীল প্রযুক্তিতেও গভীর হয়েছে; যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরব-চীন ব্যবসায়িক সম্মেলনের সময় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমালোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে যুবরাজ আবদুল আজিজ বিন সালমান বলেন, ‘আমি আসলে এটা উপেক্ষা করি। কারণ একজন ব্যবসায়ী হিসেবে... এখন আপনি যেখানে সুযোগ পাবেন, সেখানেই যাবেন।’

ওই সম্মেলনে অংশ নিতে বর্তমানে চীনা উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীরা রিয়াদে জড়ো হয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের রিয়াদ সফরের কয়েকদিন পর এই সম্মেলন শুরু হয়েছে।

গত মার্চে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল জায়ান্ট কোম্পানি সৌদি আরামকো চীনে মাল্টি-বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি সরবরাহের লক্ষ্যে বেইজিংয়ের সাথে দুটি বড় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সৌদি আরব সফরের পর দুই দেশের মাঝে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় ঘোষণা।
 
ওই সময় সৌদি সফরে গিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট দ্বিপাক্ষিক তেল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইউয়ান ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন। উভয় দেশের এই পদক্ষেপ বৈশ্বিক বাণিজ্যের অন্যতম বিনিময় মুদ্রা ডলারের আধিপত্যকে দুর্বল করে তুলতে পারে বলে সেই সময় বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছিলেন।

সৌদির জ্বালানি মন্ত্রী আব্দুল আজিজ বলেছেন, চীনে তেলের চাহিদা এখন বাড়ছে। সুতরাং সেই চাহিদার কিছু অংশকে অবশ্যই আমাদের কাজে লাগাতে হবে।

সূত্র: রয়টার্স।

এমআইসি