ঢাকাঃ বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশের তকমা আর চীনের কাছে রইল না! বহু বিশেষজ্ঞের পূর্বানুমানকে সত্যি করে ভারতই এখন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। বুধবার জাতিসংঘের একটি সমীক্ষায় এমনটাই জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এখন ভারতের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ। অপরদিকে দ্বিতীয় স্থানে নেমে যাওয়া চীনের ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ মানুষ রয়েছে।
দীর্ঘ দিন ধরেই বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশের তকমা পাওয়া চীন ‘এক সন্তান নীতি’র ওপরে জোর দিয়েছিল। তারপরই জনসংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে সে দেশে। ছয় দশক পরে প্রথমবারের মতো চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শুধু থমকেই যায়নি, অস্বাভাবিকভাবে কমতেও থাকে।
পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, ভারতেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার থমকে গেছে। ২০১১ সালের পর দেশটিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.০২ শতাংশে থমকে গেছে, যা আগে ছিল ১.০৭ শতাংশ। তবে চীনের মতো জনসংখ্যার হার খুব বেশি কমেনি ভারতে।
১৯৫০ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তালিকা করে আসছে জাতিসংঘ। এরমধ্যে এবারই প্রথমবার সংস্থাটির এ তালিকার প্রথম স্থানে ওঠে এসেছে ভারতের নাম।
১৯৬০ সালের পর গত বছর প্রথমবারের মতো কমে যায় চীনের জনসংখ্যা। ওই বছর মাও শে তুংয়ের আত্মঘাতী কৃষি নীতির কারণে চীনে হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মারা যান।
বর্তমানে বিভিন্ন আধুনিক সমস্যার কারণে দেশটিতে মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অপরদিকে বেড়ে যাচ্ছে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা। জনসংখ্যা হ্রাসের বিরূপ প্রভাব ইতোমধ্যে দেশটিতে পড়া শুরু হয়েছে। এ কারণে বর্তমানে চীনের সরকার জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।
তবে জাতিসংঘ তাদের সমীক্ষায় নির্দিষ্টভাবে জানায়নি যে ঠিক কোন সময়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বাধিক জনবহুল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তার কারণ বর্ণনায় তথ্যের অপ্রতুলতাকেই দায়ী করা হচ্ছে। প্রতি দশ বছর অন্তর আদমশুমারি হওয়ার কথা থাকলেও ২০১১ সালের পর ভারতে আর জনগণনা হয়নি। ২০২১ সালে তা হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। তবে সমীক্ষা থেকে এটা স্পষ্ট যে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই বাস করেন এশিয়ার দুই শক্তিধর দেশ ভারত ও চীনে।
বুইউ