ঢাকাঃ নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবাবিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স। প্রধানমন্ত্রী পদে দলের মনোনয়ন পাওয়া একমাত্র ব্যক্তি হওয়ায় তিনিই এখন দেশটির কর্ণধার। বুধবার শপথ নিয়েছেন তিনি।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার মধ্যে আগামী অক্টোবরের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিকে জয়ী করার জন্য লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে ৪৪ বছর বয়সী ক্রিস হিপকিন্সকে।
গত সপ্তাহে হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন নিউজিল্যান্ডের বহু চর্চিত প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। এদিন শপথ নিয়ে ক্রিস বলেন, ''জীবনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পালন করতে চলেছি। কথা দিচ্ছি, সমস্ত দায়িত্ব সম্পূর্ণ গুরুত্বদিয়ে পালন করার চেষ্টা করব।' খবর রয়টার্সের
এদিন ক্রিসের সঙ্গে কারমেল সেপুলোনি ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। প্যাসিফিক আইল্যান্ড থেকে এই প্রথম কেউ নিউজিল্যান্ড প্রশাসনে এত বড় পদ পেলেন।
গত সপ্তাহে হঠাৎ করে পদত্যাগ করার কথা জানান জেসিন্ডা। তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের বহু দুঃসময়ের সাক্ষী তিনি। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সন্ত্রাসী হামলা এবং করোনা মহামারি সামলাতে হয়েছে তাকে। এবার কাজ থেকে অব্যাহতি দিয়ে নিজের কাজ এবং পরিবারের সঙ্গে থাকতে চান তিনি।
পার্লামেন্টে একথা জানিয়ে গভর্নমেন্ট হাউসে রাজা চার্লসের প্রতিনিধির হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন জেসিন্ডা। তার পদত্যাগের কথা শুনে পার্লামেন্টের সাংসদেরা কার্যত হতবাক হয়ে পড়েন।
ক্রিস হিপকিনস ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০২০ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব পান করোনাবিষয়ক মন্ত্রীর। পরে বদল করা হয় তার দপ্তর।
শপথ নিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি পরবর্তী অর্থনীতিকে চাঙ্গা করাই তার প্রথম এবং প্রধান কাজ। নিউজিল্যান্ডের ৪১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এদিন শপথ নেন তিনি। বুধবারই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসার কথা তার।
নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো অনুশোচনা নেই বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। তিনি বলেছেন, ‘তিনি দুঃখ থেকে ‘স্বস্তির অনুভূতি’ পর্যন্ত ‘আবেগের পরিসর’ অনুভব করছেন।’
২০২০ সালে দেশটির ৫৩ তম জাতীয় নির্বাচনে ন্যাশনাল পার্টির প্রধান কলিন্সকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসেন জেসিন্ডা আরডার্ন। এর আগে ৩৭ বছর বয়সে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নারী সরকার প্রধান হওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
জেসিন্ডা করোনা মহামারি, ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলা ও হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের মতো জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নিউজিল্যান্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে, করোনাভাইরাসের বিপরীতে সফল ব্যবস্থাপনার কারণেই তিনি দ্বিতীয় মেয়াদেও জয়লাভ করেন তিনি।
বুইউ