ঢাকাঃ দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর সদস্যরা সোমবার থেকে ২০০টি বিমান নিয়ে তাদের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করে। এ মহড়া শুরুর পর উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয় এগুলো উস্কানিমূলক, এসব কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে উত্তর কোরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যেই নতুন করে আরও ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। স্থানীয় সময় বুধবার (২ নভেম্বর) দেশটির নেতা কিম জং উনের শাসনকালে দৈনিক সর্বোচ্চ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনা এটি।
স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ব উপকূল থেকে এবং উলেউংডো দ্বীপের কাছে পানিতে গিয়ে পড়ে। এএফপির খবরে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর উলেউংডো দ্বীপে বিমান হামলার সতর্কতা জারি করে দক্ষিণ কোরিয়া। সেখানকার বাসিন্দাদের ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতে বলা হয়েছে।
কিছুদিন আগেই শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়াটি শেষ হবে শুক্রবার। ‘ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’ নামে যৌথ মহড়ায় দুই দেশের শত শত যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। সোমবার থেকে বিরামহীনভাবে শক্তি প্রদর্শন করছে দুই দেশ।
সেই মহড়া শেষ হবার আগেই এই হামলা নিয়ে অখুশি জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের অপারেশন ডিরেক্টর কাং শিন-চুল। তিনি বলেছেন, 'উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ খুবই অস্বাভাবিক এবং অগ্রহণযোগ্য; কারণ এটি সামুদ্রিক সীমান্তের দক্ষিণে দক্ষিণ কোরিয়ার আঞ্চলিক জলসীমার কাছাকাছি পড়েছিল।'
চলতি বছরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সংখ্যা বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। এ পর্যন্ত অন্তত ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে তারা। শুধুমাত্র দক্ষিণ কোরিয়া সংলগ্ন এলাকায় উত্তর কোরিয়া বিভিন্ন ধরনের অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে এএফপি।
এমইউ