ঢাকাঃ ভারতের গুজরাটে মোরবি জেলার মচ্ছু নদীতে একটি ক্যাবল ব্রিজ ভেঙে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় এখনো ১০০ জনের মতো নিখোঁজ। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।
রোববার (৩০ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভেঙে পড়ে সেতুটি। ঘটনার সময় ছটপূজাকে কেন্দ্র করে প্রায় ৫০০ মানুষের উপস্থিতি ছিল সেখানে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি।
জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ওই সেতুটি সংস্কারের পর গত ২৬ অক্টোবর উন্মুক্ত করা হয় জনসাধারণের জন্য। পূজা উপলক্ষে স্থানীয়রাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫০০ শতাধিক মানুষের জমায়েত হয়। ভেঙে পড়ার পর তাদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
সেতু ভেঙে পড়ার পর দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে স্থানীয়রাও অংশ নিয়েছেন। তিন দিনের সফরে গুজরাটে অবস্থানরত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই দুর্ঘটনার পরপরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাজ্য সরকারও নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে চার লাখ এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার রুপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
মোরবি পৌরসভার কর্মকর্তারা বলেছেন, যথাযথ ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই সেতুটি পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় একটি বেসরকারি ট্রাস্ট সেতুটির মেরামত ও সংস্কার কাজ করেছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের কাছে ফিটনেস সার্টিফিকেট জমা না দিয়েই ওই ট্রাস্ট সেতুটি খুলে দিয়েছে।
এমইউ