ঢাকাঃ সম্প্রতি এক পপ তারকার সঙ্গে পার্টি ও নাচের ভিডিও ভাইরাল হতেই বিতর্কের মুখে পড়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মেরিন। এরপরই তিনি মাদক পরীক্ষা করিয়েছেন বলে জানান। ভিডিওতে বন্ধুদের সঙ্গে তাকে ব্যাপক নাচ এবং গান গাইতে দেখা যায়।
সমালোচনার জবাবে ৩৬ বছর বয়সী সান্না মারিন বলেন, ওই পার্টিতে কোনও ধরনের অবৈধ মাদক সেবন করেননি তিনি। তবে অ্যালকোহল নিয়েছেন তিনি। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মারিন বলেন, তিনি মাদক পরীক্ষা করেছেন। এই পরীক্ষার ফল আগামী সপ্তাহে পাওয়া যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
তিনি কখনও অবৈধ মাদক সেবন করেননি বলে দাবি করেছেন। হেলসিংকিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সান্না মারিন বলেন, আমি অবৈধ কোনও কিছুই করিনি। তিনি বলেন, এমনকি আমার কিশোরী বয়সেও আমি কোনও ধরনের মাদক সেবন করিনি। বিরোধীদের উদ্বেগ দূর করার জন্য তিনি মাদক পরীক্ষা করেছেন বলে জানিয়েছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ক্ষমতায় থাকা দেশটির এই প্রধানমন্ত্রী পার্টিতে থাকাকালীন সরকারি যেকোনও সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম ছিলেন কিনা; সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সান্না মারিন বলেন, স্টেট কাউন্সিল প্যালেসে যাওয়ার জন্য মাঝরাতে হঠাৎ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে আমার একবারও মনে পড়ে না।
এদিকে, শুক্রবার সান্না মারিনের পার্টিতে নাচগানের নতুন আরেকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভিডিওতে ফিনিশ পপতারকা ওলাভি উসিভির্তার সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে নাচতে দেখা যায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে।
পপতারকা ওলাভি প্রধানমন্ত্রী মারিনের ঘাড়ে চুম্বন করেছেন বলে দেশটির একজন সাংবাদিক দাবি করেছেন। যদিও শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মারিন। তিনি বলেন, আমি মনে করি না যে, আমার ঘাড়ে চুম্বন করা হয়েছে। তবে আমাকে কিছু বলা হয়েছিল। আমি বন্ধুদের জড়িয়ে ধরে গালে চুমু দিয়েছি। যদি এটাকে বেমানান বলে বিবেচনা করা হয়, তাহলে আমার কিছুই করার নেই।
‘যদি কেউ আমার গালে চুম্বন করে, তাহলে এতে বেমানান কিছু নেই। আর এটি এমন অযৌক্তিক কিছু নয়, যা আমার স্বামীকে বলতে পারবো না।’
সান্না মারিনকে ঘিরে দেশটিতে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। কারণ তিনি প্রায়ই বিভিন্ন পার্টিতে যোগ দিয়ে সেখানে তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। এর আগে, গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগীর ঘনিষ্ট সংস্পর্শে আসার পর ক্লাবে গিয়ে পার্টিতে যোগ দেন; যা নিয়ে সেই সময়ও দেশটিতে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়।
সানা মারিন একসময় ছিলেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী; যদিও সেই খেতাব এখন চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিকের দখলে। তবে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনোই রাখঢাক করেননি সানা মেরিন। অনুষ্ঠানে সাবলিলভাবেই ছবি তোলেন তিনি।
এমবুইউ