কাশ্মীরে চালু হয়েছে ইন্টারনেট সুবিধা

আগামী নিউজ ডেস্ক জানুয়ারি ১৬, ২০২০, ১২:০৯ পিএম

পাঁচ মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আংশিকভাবে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে। তবে এখনো অনেক বড় অংশে ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত কাশ্মীরবাসীরা। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে সেখানে টু জি সার্ভিস দেয়ার জন্য অপারেটর কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

গত বছর ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে পাস হয় একটি বিলও। ৯ আগস্ট রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আইনে পরিণত হয় তা। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মীরজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। আটক করা হয় সেখানকার শীর্ষ রাজনীতিকদের।

গুটিকয়েক সরকারি সেবা সংস্থার ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাবে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাশ্মীরে অতিরিক্ত ৪০০ ইন্টারনেট কিয়োস্ক স্থাপন করা হবে৷ এতে কিয়োস্ক বুথের সাহায্যে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নেয়া যাবে।

বুধবার শুধু শ্রীনগরসহ মধ্য কাশ্মীরেই ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরেছে। কুপওয়ারা, বন্দিপোরা, বারামুল্লাসহ উত্তর কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরবে দুদিন পর। তারও দুদিন পর ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরবে পুলওয়ামা, কুলগাম, শোপিয়ান, অনন্তনাগসহ দক্ষিণ কাশ্মীরে। এক সপ্তাহ পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যপাল।

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর থেকেই ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাজ্যটি। যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ইন্টারনেটের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সম্প্রতি তা নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ‘কাশ্মীর টাইমস’-এর নির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন এবং কংগ্রেস সদস্য গুলাম নবি আজাদ। কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেন তারা। ১০ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত জানান, এভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখা যায় না। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার।

আগামী নিউজ/ হাসি/এনএনআর