দাবানলে ছাইয়ের স্তূপে উঁকি দিচ্ছে নতুন প্রাণ

আগামী নিউজ ডেস্ক জানুয়ারি ১৫, ২০২০, ০১:০৫ পিএম

অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এলো অস্ট্রেলিয়ার ভয়ংকর দাবানল। টানা তিন মাস ধরে নজিরবিহীন দাবানলে পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল। কমপক্ষে ৫০ কোটি বন্যপ্রাণী আগুনে পুড়ে মারা গেছে। কত গাছ আর কীটপতঙ্গ যে আগুনে পুড়ে গেছে তার কোনো হিসাব নেই।

দিনরাত এক করে নিরলস কাজ করে চলা দমকলকর্মীরা জানাচ্ছেন, সিডনির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের গসপার পাহাড়ের আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে।

সোমবার নিউ সাউথ ওয়েলসের রুরাল ফায়ার সার্ভিস কমিশনার শানে ফিজৎসিমনে জানিয়েছেন, কিছু কিছু এলাকা এখন জ্বলছে। তবে দাবানলের বিরুদ্ধে কঠিন কাজ এখনো থেমে যায়নি।

এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫০ কোটি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। ৮ হাজার শুধু কোয়ালাই মারা গেছে। ৫.৫ মিলিয়ন হেক্টর এলাকা দাবানলের গ্রাসে পুড়ছে। ১৪০০-র বেশি বাড়ি পুড়ে খাক হয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার আগুনে ঢেকে গেছে নিউজিল্যান্ডের রাজধানী অকল্যান্ডও। এই মুহূর্তে প্রায় ১ কোটি মানুষ এই বিষাক্ত ধোঁয়ার আওতার মধ্যে রয়েছেন।

এত কিছুর পরও পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া জঙ্গলে দেখা মিলেছে নতুন প্রাণের। ছোট ছোট সবুজ জীবনের হাতছানিতে ফের ফিরবে প্রাকৃতি ভারসাম্য, এমনটাই আশা গোটা বিশ্বের।

গাছের গুঁড়ির বাইরের অংশ পুড়ে গেলেও সেই কুঁড়ি বেঁচে যায়। ঘাস ও অনেক প্রজাতির ঝোপঝাড় শিকড় থাকে মাটির অনেক নিচে লুকানো। আগুন নিভে গেলে তাই তাদের পক্ষে দ্রুত কুঁড়ি গজানো সম্ভব হয়। তবে অঙ্কুরিত হতে এই বীজগুলোর এখন বৃষ্টি দরকার হবে। কিন্তু দাবানল শুরুর পর থেকে কুলনারা অঞ্চলে কোনো বৃষ্টি হয়নি। আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর কিছু গাছ দ্রুত প্রাণ পেলেও অনেক গাছের অনেক সময় লেগে যায়।

গত সেপ্টেম্বর থেকে জ্বলছে অস্ট্রেলিয়ার বনাঞ্চল। অস্ট্রেলিয়ার উত্তর ও দক্ষিণে আইল্যান্ডের ওপরের অংশের জঙ্গলে আগুন লেগেছিল। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ক্রমাগত পানি ছড়ানো হয়েছে জঙ্গলের ওপর। এয়ারলিফ্ট করে জন্তুদের বাঁচানোর চেষ্টাও চলেছে। ক্ষতির পরিমাণ ২৯.৯ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি।

আগামী নিউজ/হাসি/ এনএনআর