ভারী বর্ষণে ব্রাজিলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ১, ২০২২, ০৮:৫০ এএম

ঢাকাঃ গত কয়েকদিন ধরে চলা ভারী বর্ষণে ব্রাজিলের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য পারনামবুকোতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ১০ জন। মঙ্গলবার (৩১ মে) টানা ষষ্ঠ দিনের মত ভারী বৃষ্টিপাত চলছিল বলে খবর প্রকাশ করছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় মঙ্গলবার উদ্ধার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। নতুন করে ভূমিধস ও বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়ে আগেই সতর্ক করে দিয়েছে ফায়ার ডিপার্টমেন্ট। 

পারনামবুকো রাজ্যের ১৪টি পৌরসভায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে পার্শ্ববর্তী অ্যালাগোয়াস রাজ্যের ৩৩টি পৌরসভাতেও জরুর অবস্থা জারি করা হয়েছে, যেখানে অন্তত ৩ জনের মৃত্যু  হয়েছে এবং ১৮ হাজার বাসিন্দা ঘরছাড়া হয়েছেন। গত সপ্তাহে শুরু হয় বৃষ্টিপাত। সপ্তাহ শেষে তা ভারী বর্ষণে রূপ নেয়। 

ভারী বর্ষণের শিকার অঞ্চলগুলোর জন্য ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো সোমবার ২১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পার্নামবুকোর গভর্নর পাওলো কামারা জানান, ছয় দিনের বৃষ্টিতে সৃষ্ট কাদা ধস এবং বড় বন্যার মধ্যে নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার অভিযানই এখন সরকারের অগ্রাধিকার।

কামারা বলেন, ‘‘নিখোঁজদের খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না। এই মুহূর্তে এটি একটি মৌলিক বিষয়।’’ ব্রাজিলের ন্যাশনাল সিভিল ডিফেন্সের এক বিবৃতিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজধানী রেসিফ সহ পার্নামবুকোতে আরও বন্যার ‘খুব উচ্চ’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি জাইর বলসোনারো। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাহায্য এবং সংস্থান পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

গত পাঁচ মাসের মধ্যে এটি ব্রাজিলের চতুর্থ বড় বন্যার ঘটনা। যা ব্রাজিলের অধিকাংশ জুড়ে নগর পরিকল্পনার অভাবকে নির্দেশ করে, যেখানে প্রায়শই বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধ্বসের মত ঝুঁকির সৃষ্টি হয়।

২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে এবং চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে, উত্তর-পূর্ব ব্রাজিলে অবস্থিত বাহিয়া রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কারণে কয়েক ডজন লোক নিহত এবং কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। জানুয়ারিতে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সাও পাওলোতে বন্যার সময় নিহত হয় কমপক্ষে ১৮জন।

এমবুইউ