ঢাকাঃ নেপালে বিধ্বস্ত প্লেনটিতে ২২ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। একজনকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখনো উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে দেশটির সেনা ও নৌবাহিনীর বিশেষ টিম।
নেপালের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র দেও চন্দ্র লাল কর্ণ সোমবার বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ২০টি মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছি। আরেকটি মরদেহের অবস্থান শনাক্ত করা গেছে। উদ্ধারকারীরা কঠিন পর্বতভূমি থেকে মরদেহটি উদ্ধারে চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, নিখোঁজ আরেক যাত্রীর খোঁজে উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্থলের আশপাশে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন।
রোববার সকালের দিকে পর্যটন শহর পোখারা থেকে আরেক পর্যটন শহর ও তীর্থস্থান জমসনে যাচ্ছিল তারা এয়ারের ৯৯-এনএইটি প্লেনটি। যাত্রা ছিল মাত্র ২০ মিনিটের। তবে অবতরণের মাত্র পাঁচ মিনিট আগে প্লেনটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্লেনটির নির্মাতা কানাডিয়ান এয়ারক্র্যাফট প্রতিষ্ঠান দে হ্যাভিল্যান্ড
বিধ্বস্ত প্লেনটিতে যাত্রীদের মধ্যে চারজন ভারতীয়, দুজন জার্মান ও ১৬ জন নেপালের নাগরিক ছিলেন। প্রতিকূল আবহাওয়া ও পর্বতভূমি হওয়ায় উদ্ধার কাজ ব্যহত হয়েছে।
এদিকে, নেপালের সরকার প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনা তদন্তে একটি প্যানেল গঠন করেছে। এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকা থেকে কাঠমাণ্ডুগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের রানওয়েতে আছড়ে পড়ে আগুন ধরে গেলে ৫১ আরোহী নিহত হন। মোট ৭১ জন আরোহী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছিল ওই প্লেনটি।
এরপর ২০১৯ সালের এপ্রিলে আরও একটি প্লেন দুর্ঘটনায় তিনজন মারা যান নেপালে।
সূত্র: বিবিসি
এমবুইউ