ঢাকাঃ তালেবান সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মতো প্রতিবেশী দেশ ইরান সফরে গেছেন আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। আফগানিস্তানের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই শনিবার (৮ জানুয়ারি) দেশটিতে এ সফরে যান তিনি।
ইরানি সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সফরে ইরানে বসবাসরত আফগান শরণার্থীদের নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া আফগানিস্তানের বিদ্যমান অর্থনৈতিক সংকট নিয়েও ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার আলোচনার কথা রয়েছে।
টুইটারে দেওয়া পোস্টে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল কাহার বালখি বলেছেন, ‘আফগানিস্তান ও ইরানের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ট্রানজিট ও শরণার্থী ইস্যুতে আলোচনাই এই সফরের লক্ষ্য।’
২০২১ সালের ১৫ আগস্ট প্রায় বিনা বাধায় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। পালিয়ে দেশ ছাড়েন পশ্চিমা সমর্থিত তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি। তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথমবারের মতো প্রতিবেশী ইরান সফরে গেলেন আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অন্যান্য দেশগুলোর মতো ইরানও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। বরং দেশটিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রশাসন দেখতে চায় তেহরান। সুন্নী প্রভাবিত তালেবানের আগের মেয়াদেও দলটির নেতৃত্বাধীন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি শিয়া অধ্যুষিত ইরান।
ইরানে এরইমধ্যে লক্ষাধিক আফগান শরণার্থী রয়েছে। নতুন করে শরণার্থীদের আরও স্রোত তৈরির আশঙ্কা করছে তেহরান। ফলে এমন স্রোত সামলাতে নিজ দেশের সংস্কারবাদীদের সমালোচনা সত্ত্বেও তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে ইরান সরকার।
আগামীনিউজ/বুরহান