ঢাকাঃ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাজ্যে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা। তবে গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন যত সংখ্যক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, দেশটির গত দুই বছরের মহামারির ইতিহাসে এত বেশি দৈনিক সংক্রমণের ঘটনা কখনও ঘটেনি।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দেশটির সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার থেকে যুক্তরাজ্যে শনাক্তের রেকর্ড হচ্ছে। ওই দিন শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ৬১০ জন। পর দিন বৃহস্পতিবার সেই রেকর্ড ভেঙে যায় ৮৮ হাজার ৩৭৬ জন আক্রান্ত হলে। এবার শনাক্ত ৯৩ হাজার ছাড়িয়ে গেলো।
নতুন শনাক্ত হওয়া এই করোনা রোগীদের একটি বিশাল অংশ ওমিক্রনে আক্রান্ত।গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববাসীকে প্রথম করোনাভাইরাসে রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের তথ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
অবশ্য এক গবেষণায় জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ধরনটির ব্যাপারে বিশ্বকে জানানোর ৫ দিন আগে, নেদারল্যান্ডসে এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৬৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সার্স-কোভ-২ বা করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন।
যুক্তরাজ্যে প্রথম ওমক্রিনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ২৭ নভেম্বর। দেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৭ জন।
মহামারির শুরুর পর এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার ৩৫৪ জন। গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১১১ জন। মোট মারা গেছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮ জন।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি ডেল্টার তুলনায় পাঁচগুণ বেশি। এছাড়া আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় রোগ মৃদু হওয়ার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
এই গবেষণায় যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা ও ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ২৯ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তদের তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।
আগামীনিউজ/বুরহান