পাকিস্তানের করাচির স্থানীয় আবদুল্লা হারুন রোড থেকে থানায় একটা ফোন আসে। ভয়ার্ত একটা গলা ফোনের ওপার থেকে বলে, তাদের এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের বন্ধ দরজার বাইরে একটি কাটা হাত পড়ে আছে! ফোন পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশ গিয়ে যথারীতি তারা বাইরে কাটা হাত দেখতে পায়। কিন্তু তার পরই ফ্ল্যাটের দরজা খুলে দেখে, ঘরের মেঝেতে এক ব্যক্তির খণ্ডবিখণ্ড মরদেহ পড়ে রয়েছে। তারই পাশে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে ছিলেন এক নারী। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত ৪৫ বছরের ওই নারী। তবে খুন কবে হয়েছে, তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট হয়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, এক সপ্তাহ আগেই খুন করা হয়েছে মুহাম্মদ সোহেল নামের ৬০ বছরের ওই ব্যক্তিকে। তিনি ওই ফ্ল্যাটেরই বাসিন্দা ছিলেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকারও করেন ওই নারী।
পুলিশ জানায়, নারীর বিরুদ্ধেই খুনের প্রমাণ মিলছে। কেননা নারীর পোশাক ছিল রক্তমাখা। আর যে অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তির শরীর টুকরো-টুকরো করা হয়েছে, সেই অস্ত্রও পাওয়া গেছে সেখানেই। খুনের জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও কয়েকটি অস্ত্র।
নারী বলেন, মৃত ওই ব্যক্তি তার স্বামী। পরে বয়ান বদলে তিনি দাবি করেন, ওই ব্যক্তি তার মেয়ের জামাই।
তারা সম্পর্কে যা-ই হোক না কেন, তারা ওই ফ্ল্যাটে একসঙ্গে থাকতেন।
আগামীনিউজ/ হাসান