ঢাকাঃ করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স। স্থানীয় সময় সোমবার (২২ নভেম্বর) তার কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
৫৬ বছর বয়সী জিন ক্যাসটেক্স করোনা টিকার দুই ডোজই গ্রহণ করেছেন। এর আগে কখনও তিনি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হননি।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হওয়ার পর থেকে আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স বলছে, সম্প্রতি বেলজিয়াম সফরে যান ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্স। সেখানে তিনি বেলিজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সাজান্ডার দ্য ক্রোর সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে ফ্রান্সে ফিরে ক্যাসটেক্স নিজের মেয়ের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পান। এরপর ফরাসি প্রধানমন্ত্রী করোনা পরীক্ষা করেন এবং পরীক্ষায় পজিটিভ হন।
এক বিবৃতিতে ফরাসি প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, জ্যঁ ক্যাসটেক্স আগামী ১০দিন আইসোলেশনে থাকবেন এবং ওই অবস্থা থেকেই তিনি তার দায়িত্বপালন অব্যাহত রাখবেন।
এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন গত বছর।
সম্প্রতি ইউরোপজুড়ে করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়তে শুরু করেছে। আর তাই সংক্রমণ কমিয়ে আনতে এবং মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ঠেকাতে ইউরোপের বহু দেশ লকডাউনসহ করোনা বিধিনিষেধ আরোপ করতে শুরু করেছে। সোমবার থেকেই দেশজুড়ে লকডাউন আরোপ করেছে অস্ট্রিয়া।
এদিকে, ফ্রান্সের ক্যারিবিয়ান দ্বীপ গুয়াদেলুপে রোববার ও সোমবারও করোনা বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে দাঙ্গা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। পরে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় বাড়তি পুলিশ পাঠায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডারমানিন বলেন, বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর গোলাবারুদ ব্যবহার করেছে। তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ বলছেন, করোনার সংক্রমণ রুখতে ফ্রান্সে এ ধরনের কোনো নিয়মের প্রয়োজন নেই। কারণ দেশটির হেলথ পাস বিষয়ক নিয়মগুলো ইতোমধ্যেই করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকটা সফল হয়েছে। তবে করোনার টিকাদান কর্মসূচিকে আরও গতিশীল করতে চান তিনি।
আগামীনিউজ/বুরহান