বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ২১, ২০২১, ০৯:৩৫ এএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আজ। গ্রিক শব্দ 'টেলি' মানে দূরত্ব আর লাতিন শব্দ 'ভিশন' অর্থ দেখা। বিজ্ঞানী জন লোগি বেয়ার্ডের টেলিভিশন আবিস্কারের দিনটি ছিল ১৯২৬ সালের ২১ নভেম্বর। তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ১৯৯৬ সালে জাতিসংঘ আয়োজিত এক ফোরামে ২১ নভেম্বরকে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস হিসেবে পালনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রুশ বংশোদ্ভূত প্রকৌশলী আইজাক শোয়েনবার্গের কৃতিত্বে ১৯৩৬ সালে প্রথম টিভি সম্প্রচার শুরু করে বিবিসি। টেলিভিশন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চালু হয় ১৯৪০ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টেলিভিশনের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়। গত শতাব্দীর ৫০-এর দশকে টেলিভিশন গণমাধ্যমের ভূমিকায় উঠে আসে।

প্রবল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অসহায়ের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে একুশ শতকে গোটাবিশ্বে টেলিভিশনকেই সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রযুক্তির উৎকর্ষে ও সময়ের দাবিতে বাংলাদেশেও গণমাধ্যমে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে টেলিভিশন। 

প্রতিদিনের খবরাখবর ও মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এখন টেলিভিশনের গুরুত্ব অপরিসীম। টেলিভিশনকেই তথ্য-বিনোদনের প্রধান উৎস বলে বিশিষ্টজনরা মনে করেন।

এই সম্প্রচার মাধ্যমকে সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গায় রাখার পাশাপাশি নানা প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।

৫০ এর দশকে টেলিভিশন গণমাধ্যমের ভূমিকায় উঠে আসে। বাংলাদেশ টেলিভিশন আসে ১৯৬৪ সালে। ওই বছরের ২৫শে ডিসেম্বর সাদা-কালো সম্প্রচার শুরু করে। ১৯৮০ থেকে শুরু হয় রঙিন সম্প্রচার।

বর্তমানে সরকারি টেলিভিশন হিসেবে বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড ও সংসদ টিভি চালু রয়েছে। এছড়া দেশে ৪৪টি বেসরকারি টেলিভিশন অনুমোদন পেয়েছে যার মধ্যে ৩০টি সম্প্রচারে রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশের জন্য সম্প্রচার মাধ্যম টেলিভিশনের স্বাধীনতা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমান সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি বড় জায়গা দখল করলেও টেলিভিশনের আবেদন আরও বাড়বে বলেও মনে করেন তারা।

আগামীনিউজ/নাসির