ঢাকাঃ দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে কারগারের মধ্যে দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত রয়েছেন অর্ধশতাধিক। কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশটির কারা ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
গত মঙ্গলবারের গুয়ায়েকিল শহরের কারাগারে হওয়া এই সংর্ঘষে পাঁচজন বন্দির শিরচ্ছেদ করা হয়। আর বাকীদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা ফাউস্তো বুয়েনাও বলেন, কারাগারের বন্দিরাও গ্রেনেড ছোড়ে। ওই কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪০০ জন পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছিল। কারাগারটিতে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা বন্দি ছিলেন।এ নিয়ে এ বছর ইকুয়েডেরের কারাগারে তৃতীয় দাঙ্গার ঘটনা ঘটল। ফেব্রুয়ারি ও জুলাইতে দেশটির অন্য কারাগারে দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। তবে, মঙ্গলবারের ঘটনা সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। ফেব্রুয়ারির ঘটনায় ৭৯ জন আর জুলাইয়ের ঘটনায় অন্তত ২২ জনের প্রাণহানি ঘটে।
দেশের সবচেয়ে বড় শহর গুয়াইয়াকুইলে বুধবার ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসসো সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দের কারণে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো কারাগারগুলোকে কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে। মহান সৃষ্টিকর্তা ইকুয়েডরের ভালো করুন যেন আমরা প্রাণহানির সংখ্যা এড়াতে পারি। এটিই আমার প্রার্থনা।’
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, কারাগারের জানালা থেকে গুলি ও বিস্ফোরক ছুড়ছেন কয়েদিরা। মঙ্গলবারের সংঘাতে অ্যাসল্ট রাইফেল, পিস্তল, গ্রেনেড ও ধারাল অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে কারারক্ষীদের।
আগামীনিউজ/নাসির