হু-এর কর্মীদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার ৮০ অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১, ০৫:০১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর হাতে এসেছে ভয়াবহ একটি রিপোর্ট। এতে দেখা গেছে, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কঙ্গোয় ইবোলা মহামারির রূপ নিয়েছিল। তখন বহু কর্মী নিয়োগ করতে হয়েছিল ইবোলার সঙ্গে লড়াই করার জন্য। একাধিক নারী কর্মীকে যৌনতার বিনিময়ে চাকরির শর্ত দিয়েছিল সেখানকার হু-র কর্মীরা।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বুধবার বলা হয়, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। হু-এর প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, পুরো ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

অভিযোগ আগেই কানে এসেছিল হু-র। তারই ভিত্তিতে একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সম্প্রতি তাদের রিপোর্ট হু-র হাতে এসেছে। ৩৫ পাতার রিপোর্টে একাধিক অভিযোগের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। 

রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্তত ৮০টি এমন অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্ত প্রায় ২০ জন হু কর্মী। তাদের অধিকাংশই কঙ্গোর নাগরিক। তবে বিদেশিও আছেন। অন্তত ৩০ জন নারী সরাসরি হু-এর কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। অন্তত ৫১ জন নারী হু ছাড়াও ইউনিসেফ, অক্সফ্যামের মতো সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন।

আক্রান্ত নারীদের অভিযোগ, ইবোলার সময় বেশ কিছু চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছিল। ইবোলার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য সাময়িক সময়ের শর্তে বহু স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিয়েছিল হু। অভিযুক্ত কর্মীরা সে সময় বহু চাকরিপ্রার্থী নারীর সাক্ষাৎকার নেয়। তাদেরকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, বসের সঙ্গে যৌনতায় তাদের আপত্তি আছে কি না। যৌন সংসর্গ করলে পদোন্নতির কথাও বলা হয়।

ভুক্তভোগী নারীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, কাজের প্রয়োজনে তারা রাজি হয়েছিলেন। সেই সুযোগে তাদের ধর্ষণও করা হয়েছে।

হু-র বক্তব্য, যে ব্যক্তিদের নামে অভিযোগ, তাদের অধিকাংশই সাময়িক সময়ের জন্য কাজ করছিলেন। অর্থাৎ, তাদেরকেও ইবোলা মোকাবিলার জন্য দ্রুত নিয়োগ করা হয়েছিল। সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশিত হয়নি।