ঢাকাঃ সম্প্রতি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীকে হত্যার জন্য যে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল তা যুক্তরাষ্ট্রের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির সেন্ট্রাল কমান্ড। এ ঘটনার জন্য ক্ষমাও চেয়েছে দেশটির সামরিক বিভাগ।
ম্যাকেঞ্জি জানান, তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়ায় কাবুল বিমানবন্দরে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেইসাথে অনেক আফগান নাগরিকও দেশ ছাড়ার জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে। এমন সময় বিমানবন্দরে আত্মঘাতি বোমা হামলা ঘটে এবং সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে অন্তত ১৮৩ জনের মৃত্যু হয়। আফগানিস্তান ছাড়ার পূর্ব মুহুর্তে এমন ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদার করে মার্কিন বাহিনী। এরফলেই পরবর্তী ড্রোন হামলাটি চালানো হয়েছিল। যা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে স্বীকার করেছেন ম্যাকেঞ্জি।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের তদন্তে জানা গেছে, ড্রোন হামলার শিকার ওই গাড়িটিকে কাবুলের আইএস সংশ্লিষ্ট একটি ভবনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল এবং গাড়ির চালক পেছন থেকে পানির কন্টেইনার বের করছিলেন। যেকারণে গাড়িটি আত্মঘাতি বোম হামলাকারীর হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। এদিকে মার্কিন সেনাদের কাছে তথ্য ছিল যে আরও একটি আইএস এর আত্মঘাতি বোমা হামলা হতে পারে। এসব বিবেচনায় ওই গাড়িটিকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল এবং এতে নিহত হন দশ জন। তারা সবাই বেসামরিক নাগরিক এবং তাদের মধ্যে সাতজনই শিশু।
মার্কিন বাহিনীর ভুল সিদ্ধান্তের ফলে এঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেছেন জেনারেল ম্যাকেঞ্জি। সূত্র : বিবিসি