ঢাকাঃ কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন তিনজন। জার্মান সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোলাগুলিতে একজন আফগান নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন এবং সংঘর্ষ চলাকালে আহত হন ৩ জন।
জার্মান সেনাবাহিনী টুইট বার্তায় আরও জানায়, বিমানবন্দর গেটের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
তবে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে, তাও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। কাবুল বিমানবন্দরে আইএস হামলা চালাতে পারে বলে আগেই দাবি করা হয়েছিল গোয়েন্দা রিপোর্টে। এর আগে বিমানবন্দরগামী রাস্তায় চেকপয়েন্ট বসিয়ে সেখানে ‘বদরি ৩১৩’ বাহিনী মোতায়েন করে তারা। খবর রয়টার্স ও হিন্দুস্তান টাইমসের।
এদিকে, আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য মরিয়া মানুষজনকে সরিয়ে নিতে বেসরকারি বাণিজ্যিক বিমান ব্যাবহার করা হবে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, ১৮টি বিমান এসব মানুষকে আফগানিস্তানের বাইরে নিরাপদ তৃতীয় কোন দেশে পৌঁছে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তারা ‘সিভিল রিজার্ভ এয়ার ফ্লাইট’ নামের বিশেষ ব্যবস্থা চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। এর আওতায় আপদকালীন সময়ের জন্য বেসরকারি বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্স কোম্পানির বিমান ব্যবহার করতে পারে সরকার।
যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ এই ব্যবস্থা আরোপ করেছিল ১৯৯০-৯১ এবং ২০০৩ সালে ইরাক ও কুয়েত থেকে মানুষজনকে উদ্ধারে। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, আমেরিকান এয়ারলাইন্স, ডেল্টা এয়ারলাইন্স, অমনি এয়ারলাইন্স এবং হাওয়াইয়ান এয়ারলাইন্স থেকে ১৮টি বিমান নেওয়া হবে। বেসরকারি বিমান ব্যাবহারের ফলে সামরিক বিমানগুলোকে কাবুল ও তার আশপাশে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।
অগাস্টের ১৫ তারিখ তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার পর থেকে বিমানবন্দরের হাজার হাজার আফগান নাগরিক দেশ ছাড়ার চেষ্টায় ভিড় করতে থাকে। একই সঙ্গে নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের এবং আফগান সহকর্মীদের মধ্যে যারা যোগ্য তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকার।