ঢাকাঃ মিয়ানমারের এইয়ারওয়াদি নদীর ব-দ্বীপ অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।
সেনা সদস্যরা অস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি শুরুর পর গ্রামবাসীরা গুলতি ও তীর-ধনুক নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললে দু’পক্ষে সংঘর্ষ বাধে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটির প্রধান শহর ইয়াংগন থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে হালায়াসওয়ে এলাকায় শনিবার ভোরের আগে থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, ‘গ্রামবাসী শুধু তীর হাতে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সংঘর্ষে অনেক গ্রামবাসী হতাহত হয়েছেন।
রয়টার্স স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানায়, সংঘর্ষে ২০ জন নিহত ও আরও বহু লোক আহত হয়েছেন। অস্ত্র উদ্ধারের নামে সৈন্যরা গ্রামবাসীদের লাঞ্ছিত করলে তারা গুলতি নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এইয়ারওয়াদি অঞ্চলের কিয়নপিও শহর সংলগ্ন হালায়াসওয়ে গ্রামের এ সহিংসতার বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তারা মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি এবং স্বতন্ত্রভাবে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোও যাচাই করতে পারেনি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। তারপর চার মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনো জান্তা বাহিনী দেশটির পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি।
অভ্যুত্থানের পর থেকে এটি এইয়ারওয়াদি অঞ্চলে সংঘটিত সবচেয়ে সহিংস ঘটনাগুলোর একটি। চাউল উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলটিতে মিয়ানমারের সংখ্যাগুরু বামার জনগোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু কারেন জনগোষ্ঠীর বহু লোক বাস করেন। দেশটির সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ সদস্যই এই বামার জনগোষ্ঠীর লোক।
মিয়ানমারে গত ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সেনাঅভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ৮৪৫ বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন এবং সাড়ে চার হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী কারাগারে বন্দি আছেন।