ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যয় ৮৮১ কোটি টাকার বেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক মে ২১, ২০২১, ১০:০৭ এএম
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকাঃ হামাসের স্বল্পপাল্লার প্রতিটি রকেট ধ্বংসে পাল্টা মিসাইল ব্যবস্থায় আড়াইশো গুণ বেশি খরচ হচ্ছে ইসরায়েলের।

ফিলিস্তিনের ৮শ' ডলার দামের একটি রকেট নিশ্চিতভাবে ঠেকাতে এক লাখ ডলারের দুইটি মিসাইল ছুঁড়তে হচ্ছে আয়রন ডোমকে। এক ডলার, ৮৬ টাকা হিসাবে, এক সপ্তাহের সংঘাতে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের শুধু ক্ষেপণাস্ত্রের পেছনেই ব্যয় হয়েছে ৮শ' ৮১ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

তামির ইন্টারসেপ্টেড মিসাইল। ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসলামিক জিহাদ দলগুলোর ছোঁড়া স্বল্পপাল্লার রকেট আকাশেই ধ্বংস করতে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইসরায়েল। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 'আয়রন ডোম' থেকে ছোঁড়া এসব মিসাইলের একেকটির দাম ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ মার্কিন ডলার। 

ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়লের চলমান সংঘাত গড়িয়েছে দ্বিতীয় সপ্তাহে। ইসরায়েলির ডিফেন্স ফোর্সের তথ্য বলছে, গেল সপ্তাহে এমন অন্তত ১ হাজারের বেশি তামির মিসাইল ছুঁড়েছে আয়রন ডোম। শুধু তাতেই খরচ হয়েছে ১০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৮৬০ কোটি টাকা। 

অন্যদিকে হামাসের ছোঁড়া স্বল্পপাল্লার কাসাম রকেটগুলোতে নেই গাইডেন্স সিস্টেম। সাধারণ ধাতব পাইপ ফ্রেমে তৈরি এসব রকেট তৈরিতে খরচ পড়েছে মাত্র ৩০০ থেকে ৮০০ ডলার। চলমান সংঘাতে ৩১শ'র বেশি রকেট ছোঁড়া হয়েছে গাজা থেকে। এতে ব্যয় হয়েছে ২৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার খরচ ২১ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। 

হামাসের এমন সস্তা ও স্বল্পপাল্লার রকেট আকাশেই ধ্বংস করতে কখনো কখনো দুইটি মিসাইলও ছুঁড়ছে ইসরায়েল। এতে হামাসের ৬৮ হাজার ৮০০ টাকা দামের একটি স্বল্পপাল্লার রকেট নিশ্চিতভাবে আটকাতে ইসরায়েলকে ব্যয় করতে হচ্ছে ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। 

একে আর্থিক অপব্যয়ের সংঘাত বলছেন অর্থনীতিবিদরা। দরিদ্র ফিলিস্তিনের সংকট বড় হবে। তবে মার্কিন সহায়তা থাকায় অস্ত্রের বিপুল ব্যয় করেও আর্থিক চাপে পড়তে হবে না ইসরায়েলকে। 

এদিকে ১৭ই মে ইসরায়েলের কাছে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম অত্যাধুনিক ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের অস্ত্র বিক্রিতে অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।