ঢাকাঃ শনিবার গাজায় অবস্থিত আল-জাজিরার কার্যালয় ইসরায়েল উড়িয়ে দেওয়ার পর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি টুইটারে এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জানান, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সর্বজনীন দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
হোয়াইট হাউজের এমন প্রতিক্রিয়ার পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এসব করছে ইসরাইল বলে বাইডেনকে জানান নেতানিয়াহু। বাইডেনকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গাজা টাওয়ারে সংবাদমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা চালানোর আগে সরিয়ে নেয়ার সময় দেওয়া হয়েছে নিরীহ মানুষদের। গাজায় হামাস ও অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত নয় এমন মানুষদের ক্ষতি করছে না ইসরাইলি বাহিনী। নেতানিয়াহু এসময় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা সমর্থন দেওয়ার জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান।
এদিকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আল জাজিরার গাজায় অবস্থিত কার্যালয় গুঁড়িয়ে যাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, তারা চুপ করে থাকবে না। আল জাজিরার জেরুজালেম ব্যুরোর প্রধান ওয়ালিদ আল-ওমারি বলেছেন, ‘এটা স্পষ্ট যে যারা যুদ্ধ করছে তারা গাজায় শুধু ধ্বংস আর মৃত্যুই বাড়িয়ে চলছে না, তারা গণমাধ্যমগুলোকেও চুপ করিয়ে দিতে চায় যারা এগুলো প্রত্যক্ষ করছে, তথ্য সংগ্রহ করছে ও সত্যের প্রতিবেদন করছে যে গাজায় ঠিক কী ঘটছে। কিন্তু এটি অসম্ভব। আমরা চুপ করে থাকব না।’ ১৩ তলা বিশিষ্ট জালা টাওয়ার ভেঙে পড়ার পর এ কথাগুলো সরাসরি সম্প্রচারে বলেন ওয়ালিদ।
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা গাজা উপত্যকায় যেসব অপরাধ নিয়মিত করে চলছে এটি তারই অংশ।’
আল জাজিরা একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ইসরায়েলি বোমার আঘাতে ভবনটি মাটিতে ভেঙে পড়ছে। এর ফলে ছাতার মতো করে প্রচুর ধুলো আর ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে।