ঢাকাঃ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে ভারতে নেমে এসেছে মহাবিপর্যয়। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীর সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সরকার।
এই পরিস্থিতির জন্য মোদি সরকারকে দায়ী করে কড়া সমালোচনা করেছে মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেট।
এদিকে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের মূল্যায়ন অনুযায়ী, আগস্টের মধ্যেই ভারতে মৃত্যু ১০ লাখ ছাড়াতে পারে।
সোমবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৩ হাজার ৭৫৪ জন। এ সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ১৬১ জনের। এর ফলে দেশটিতে টানা চারদিন পর করোনা শনাক্ত ৪ লাখের নিচে নামল। টানা তিনদিন পর করোনায় মৃত্যু নেমেছে চার হাজারের নিচে। এ নিয়ে দেশটিতে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ৬২ হাজার ৫৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে, মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ১৫২ জনের।
এদিন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, ভারতে প্রায় নয় লাখ কোভিড-১৯ রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে, যা মোট সক্রিয় রোগীর প্রায় এক চতুর্থাংশ। এছাড়া আরও এক লাখ ৭০ হাজার রোগী ভেন্টিলেটরে আছেন বলে জানান তিনি।
ল্যানসেটের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘ভারত সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করোনা ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা নিয়ন্ত্রণেই অতিরিক্ত সক্রিয় ছিল। তারা করোনা ব্যবস্থাপনা নিয়ে মোদির সমালোচনা করে লেখা টুইটগুলো মুছে ফেলতে টুইটারের কাছে আবেদন জানায়। সংকটের সময় সমালোচনা ও খোলামেলা আলোচনাকে দমন করতে মোদি সরকারের যে প্রয়াস, তা অমার্জনীয়।’
শনিবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভারতে ৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে। এর অর্থ হল, ভারতের ১৩০ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ২ দশমিক ৭ শতাংশকে সম্পূর্ণ টিকা দেওয়া হয়েছে।
ল্যানসেটের ওই সম্পাদকীয়তে ভারত সরকারের প্রতি ভ্যাকসিন সরবরাহ বাড়ানো ও ভ্যাকসিনের ন্যায়সঙ্গত বণ্টন ব্যবস্থা তৈরির জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।