ঢাকাঃ পবিত্র লায়লাতুল কদরের রাতেও আল-আকসা মসজিদে তান্ডব চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এই হামলায় অন্তত ২০০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। হামলার জের ধরে জেরুসালেমের ওল্ড সিটির বাইরেও ইসরাইলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।
ফিলিস্তিনি তরুণরা রাস্তায় রাস্তায় পাথর নিক্ষেপ করেছে, পুলিশ ব্যারিকেড ধ্বংস করেছে।
এর আগে ইসরাইলি বাহিনী প্রবল বেগে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ আল আকসায় ঢুকে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনিকে আহত করে।
অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজাতেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা পূর্ব জেরুসালেম থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার জন্য পরিকল্পনা করার প্রেক্ষাপটে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ইসরাইলি সীমান্ত রক্ষীরা গত কয়েক দিন ধরে শেখ জারা এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানের কবলে পড়া পরিবারগুলোর সমর্থনে এগিয়ে আসা ফিলিস্তিনিদের ছত্রভঙ্গ করতে পানিকামান, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট, শোক গ্রেনেড ব্যবহার করছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস জানাচ্ছে, আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গন এবং জেরুজালেমের অন্যত্র সারা রাত ধরে ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকজন এবং ইসরাইলি পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে দু'শতাধিক লোক আহত হয়েছে বলে চিকিৎসাকর্মীরা শনিবার জানিয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলে আসা অশান্ত অবস্থা শেষে শহরটি যেন আরো সংঘাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে জনসমাবেশের ওপর পুলিশের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে রাতের বেলায় এ্ই প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয় এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বহু ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়ি থেকে উৎখাত করার হুমকির মুখে সম্প্রতি এই সংঘাত আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েক দশক ধরে পূর্ব জেরুসালেমকে উভয় পক্ষই দাবি করে আসছে। আল আকসায় ঠিক কী কারণে সহিংসতা দেখা দিয়েছে, সেটা পরিষ্কার নয়। তবে হাজার হাজার মুসুল্লি যখন মাগরিবের নামাজ পড়ছিলেন তখন সেখানে দাঙ্গানিরোধক পোশাক পরা ইসরাইলি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সারা রাত ধরে বিক্ষোভকারীদের বিশাল দল ইসরাইলি পুলিশের ওপর পাথর ছুঁড়ে মারে এবং পুলিশও বিক্ষোভকারীদের ওপর রাবার বুলেট এবং স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পুলিশ সেখানকার একটি ভবনে প্রবেশ করে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জরুরি পরিষেবা বিভাগ বলছে, আহতদের মধ্যে ৮৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, রাবারের বুলেটে ৮৩ জন আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজনকে চোখে গুলি করা হয়, দুজন মাথায় গুরুতর আঘাত পান এবং দুজনের দাঁতে আঘাত লাগে।
শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে ইসরাইলি পুলিশ জানায়, আমরা সব সহিংস গোলযোগ, দাঙ্গা ও আমাদের বাহিনীর ওপর হামলা কঠোর হাতে দমন করবো।
আগামীনিউজ/জনী