হৃৎপিণ্ড ছাড়াই ৫৫৫ দিন বেঁচেছিলেন ! এখন পুরো সুস্থ

ডেস্ক রিপোর্ট এপ্রিল ২৪, ২০২১, ০১:৫৪ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান শহরের এক বাসিন্দা। হৃৎপিণ্ড ছাড়াই ৫৫৫ দিন কাটিয়ে ছিলেন তিনি। ২৫ বছরের তরুণ স্ট্যান লারকিনের কাহিনী পড়লে চমকে উঠবেন। তবে এই ব্যাপারটি ওই ব্যক্তির কাছে অদ্ভুত লাগেনি একদমই।

২০১৪ সালের নভেম্বরে স্ট্যানের দেহ থেকে তার হৃৎপিণ্ড অপসারণ করা হয়। তবে ওই সময় হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের জন্য কোনো দাতাকে তারা পাননি। তাই লারকিনকে যাতে দীর্ঘসময় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে না হয়, সেজন্য চিকিৎসকরা বিকল্প ভাবলেন।

তার জন্য ব্যবস্থা করা হলো কৃত্রিম হৃদপিণ্ডের। এরপর সেটিকে ঠিক করে তারা স্ট্যানের পিঠে একটি ধূসর রঙের ব্যাগ বসিয়ে দিলেন। এটি তাকে বাকি জীবনটা বহনকরতে হয় বেঁচে থাকার জন্য। কারণ এই ব্যাগটিই ছিল লারকিনের জীবনমরণ।

যে চিকিৎসকরা তার এই ব্যাগে একটি বিশেষ ডিভাইস ফিট করে দেন যা ছিল কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড। এটি আবার এমনভাবে যুক্ত ছিল যে তা লারকিন নামক ওই ব্যক্তির বুকের সঙ্গে সংযুক্ত থাকত সর্বক্ষণ। এর মাধ্যমেই সে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারতো ও সুস্থ-স্বাভাবিক থাকতো। তার বেঁচে থাকার জন্যে এই যন্ত্র কাজ কাজ চালাতো। কৃত্রিম হার্টের ব্যবহার আজ থেকে নয়। বহু আগেই শুরু হয়েছে এটি।

পরে আবার স্ট্যানের দেহে হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেন চিকিৎসকরা। এতদিন ধরে কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড নিয়ে জীবনযাপন করার কথা শুনলে অনেকে হয়তো আঁতকে উঠবেন। তবে এই ভয় তাড়িয়েই জীবনে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্ট্যান। বর্তমানে ২৯ বছর বয়স স্ট্যান লারকিনের। বেশ সুস্থ স্বাভাবিকভাবেই জীবনযাপন করছেন তিনি। 

আগামীনিউজ/এএস