তুরস্কে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৫

ডেস্ক রিপোর্ট নভেম্বর ২, ২০২০, ১১:৪৩ এএম
সংগৃহীত ছবি

ঢাকাঃ তুরস্কের উপকূল কাঁপিয়ে দেওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৫ এ দাঁড়িয়েছে। গত শুক্রবার (৩০অক্টোম্বর)  তুরস্কের উপকূল ও গ্রিসের দ্বীপগুলোতে আঘাত করা এজিয়ান সাগরের ভূমিকম্পটি ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ছিল।   

তুরস্কের কর্তৃপক্ষ তাদের উপকূলীয় শহর ইজমিরে ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। এছাড়া গ্রিসের দ্বীপ সামোসে মৃত্যু হয়েছে দুই কিশোরের। 

গত শুক্রবার (৩০অক্টোম্বর) ভূমিকম্পটির মাত্রা ৬ দশমিক ৯ ছিল বলে জানিয়েছে ইস্তাম্বুলভিত্তিক কান্দিলি ইনস্টিটিউট; ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল সামোসের উত্তর পূর্বে এজিয়ান সাগরে। ভূতাত্ত্বিক চ্যূতি থাকার কারণে তুরস্কের উপকূল এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ; ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

এ ভূমিকম্পে ৯৬১ জন আহত হয়েছেন, এদের মধ্যে ২৬ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান।

ভূমিকম্পে ইজমিরের বেরাকলি জেলায় যে ২০টি ভবন ধসে পড়েছিল, তার একটির ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে রবিবার ভোরে আহমেদ সিতিম নামের ৭০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করা হয়। শনিবারও উদ্ধারকর্মীরা একটি ভবনের ধ্বংস্তুপের নিচ থেকে একজন মা ও তার চার সন্তানকে উদ্ধার করেছিল।

আহমেদ সিতিমকে যে ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়, সেই একই ৮ তলা ভবনের ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ভূমিকম্পের ১৭ ঘণ্টা পর ১৬ বছর বয়সী ইনসি ওকান নামে এক কিশোরী ও তার কুকুর ফিস্তিককেও উদ্ধার করা হয়েছিল।

তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেনিতন কোচা এবং ন্যাশনাল মেডিকেল রেসকিউ টিমের (ইউএমকেই) সদস্য এদানুর দোগান হাসপাতালে ওকানকে দেখতে যান।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ১৬ বছর বয়সী এ কিশোরী বলেন, “আমি খুব খুশি। ভাগ্য ভালো আমার বাবা বাসায় ছিলেন না। বাবা সেখানে ভালোভাবে থাকতে পারতেন না। হয়তো তার মাথায় আঘাত লাগতো।  আমি ছোট। ছোট হওয়ার কারণেই আমি চিপার মধ্যে পড়েছিলাম। এ কারণে আমাকে উদ্ধার করাও সম্ভব হয়।”

আগামীনিউজ/জেহিন