ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগের দাবিতে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো বিক্ষোভ শুরু করেছে। পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালা স্টেডিয়ামের সমাবেশ থেকে গতকাল শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বর্তমান সরকারকে উৎখাতের ডাক দেয়া হয়।
পাকিস্তানের ৯টি বিরোধী দল নিয়ে একটি জোট গঠন করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। জোটের নাম দেয়া হয়েছে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম)।
পাকিস্তানে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে, যা নিয়ে পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে সমাবেশের ডাক দেয় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও জামায়েত উলেমা-ই-উলেমা-ই-ইসলাম। এই সমাবেশে সেনাবাহিনীর মদতে ইমরান ক্ষমতায় এসেছে বলে দাবি করা হয়।
বিরোধী দলের নেতাদের অভিযোগ, অন্যায়ভাবে ইমরান খানকে ২০১৮ সালের নির্বাচনে জিতিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। তারপর থেকে সেনাবাহিনীর কথা শুনেই চলছেন ইমরান খান। এ সময় নওয়াজ শরিফ ইমরান খানকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও সেনাবাহিনীর ‘চাকর’ বলে অভিহিত করেন।
সমাবেশে একই অভিযোগ এনে নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আজ আমরা রাস্তায় নেমেছি। চলমান অবিচার, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করছি।
তবে এই আন্দোলন নিয়ে ইমরান খান মোটও চিন্তিত নন। তার বক্তব্য, ‘আমার জয় নিয়ে এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে দেশের জনগণ নির্বাচিত করেছে, সেনাবাহিনী নয়। তাই বিরোধীদের আন্দোলন নিয়ে আমি ভীত নই। আসলে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির মামলা রয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহারের জন্যই আমার ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা চলছে।’
আগামীনিউজ/জেহিন