ঢাকা: সংঘাত থেকে মানুষকে রক্ষা এবং মহামারির মতো অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষীদের অবদানের স্বীকৃতি জানিয়ে তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে চলমান ৭৫তম সাধারণ পরিষদের চতুর্থ কমিটির সাধারণ বিতর্কে প্রদত্ত বক্তব্যে গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) তিনি একথা বলেন।
বিদ্যমান ঝুঁকি এবং মহামারির মতো অপ্রত্যাশিত জরুরি পরিস্থিতিসহ শান্তিরক্ষীগণ প্রতিনিয়ত যে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। মাঠ পর্যায়ে শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষার জন্য জাতিসংঘ গৃহীত ‘অ্যাডাপ্ট এন্ড অ্যাডজাস্ট’ শীর্ষক পদক্ষেপটির প্রশংসা করেন তিনি।
টেকসই শান্তি নিশ্চিত এবং ‘শান্তিরক্ষা কার্যক্রম’ কে সাবলিল গতিতে শান্তিবিনির্মাণ কার্যক্রমে উন্নীত করতে মাঠপর্যায়সহ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের উচ্চতর পদসমূহে নারী শান্তিরক্ষীদের পদায়ন আরও বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
কোভিড-১৯ এর মধ্যেও জাতিসংঘের বিশেষ রাজনৈতিক মিশনসমূহ তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তবে, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংসতার মূল কারণ খুঁজে বের করে তা সমাধান করা এবং রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমি মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতের বৃহত্তর ও শক্তিশালী প্রচেষ্টা গ্রহণের প্রতি জোর দেন তিনি।
‘মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বিষয়ক কমিটি (কোপিউয়াস)’ এর আওতায় গৃহীত ‘স্পেস-২০৩০’ এজেন্ডাটির প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ এর কথা উল্লেখ করে তিনি মহাকাশ-প্রযুক্তি ও এতদসংশ্লিষ্ট প্রয়োগিক বিষয়সমূহে সক্ষমতা বিনির্মাণে বাংলাদেশের বিশেষ প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
আগামীনিউজ/মিথুন