ঢাকাঃ ভারতের অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামায় আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের উপরে গেরিলা হমালায় ধীরেন্দ্র এবং শৈলেন্দ্র কুমার নামে ২ সেনা নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার (০৫ অক্টোম্বর) ওই সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতরা ১১০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ান। হামলাকারীরা অবশ্য ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছে।
কাশ্মির রেঞ্জের পুলিশের মহাপরিদর্শক বিজয় কুমার বলেন, সিআরপিফের উপরে হামলাকারীরা লস্কর-ই-তাইয়্যেবা সন্ত্রাসী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। দু’জন সন্ত্রাসী মোটরবাইকে করে এসে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করলে সিআরপিএফের ২ সদস্য নিহত ও অন্য ৩ জন আহত হয়েছেন।
আজ পামপোরের কান্দিজাল ব্রিজে আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের ১১০ নম্বর ব্যাটালিয়নের সেনা এবং জম্মু ও কাশ্মির পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। এ সময়ে গেরিলারা এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করলে সিআরপিএফের ৫ জওয়ান আহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ২ জনের মৃত্যু হয়। অন্য ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘিরে ফেলে হামলাকারীদের সন্ধানে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
পুলিশ মনে করছে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা বেশিদূর পারেনি। তারা কাছাকাছি কোথাও লুকিয়ে আছে। নিরাপত্তা বাহিনী জাতীয় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে পলাতক গেরিলাদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
গণমাধ্যমের একটি সূত্র বলছে, হামলাকারীরা কমপক্ষে ২৫ মিনিট ধরে গুলিবর্ষণ করেছে। যখন নিরাপত্তা বাহিনীর সেনারা হামলাকারীদের উদ্দশ্যে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে তখন সুযোগ বুঝে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত জম্মু-কাশ্মির পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর, পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপোরার সাম্বুরা এলাকায় গেরিলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে একটি সংঘর্ষ হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ওই এলাকায় ২/৩ জন গেরিলা লুকিয়ে থাকার খবর ছিল। এরপরে এক অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুই গেরিলার মৃত্যু হয়। ওই সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছিলেন।