আজ সোমবার (০৫ অক্টোবর) সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে এক অনুষ্ঠানে নোবেল কমিটি এ ঘোষণা দেয়। তারা হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারের জন্য ২০২০ সালের জন্য এই পুরস্কারে ভূষিত হলেন। তবে চিকিৎসায় নোবেলের জন্য মনোনীত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান বা সংক্ষিপ্ত তালিকা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
এরআগে গেল বছরে অক্সিজেনের প্রাপ্যতার সঙ্গে শরীরের কোষের সাড়া দেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে গত বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পান মার্কিন ও ব্রিটিশ তিন বিজ্ঞানী।
ওই তিন নোবেলজয়ী হলেন- মার্কিন চিকিৎসাবিদ উইলিয়াম জি কেইলিন জুনিয়র, গ্রেগ এল সেমেনজা ও ব্রিটিশ চিকিৎসাবিদ স্যার পিটার জে রযাামটক্লিফ। অক্সিজেনের উপস্থিতি পাওয়ার পর মানবদেহের কোষ কীভাবে সাড়া দেয়; তা নিয়ে যুগান্তকারী গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে তারা ওই পুরস্কার পান।
এছাড়া আগামীকাল ৬ অক্টোবর পদার্থবিজ্ঞান, আগামী (৭ অক্টোবর) রসায়ন, ৮ অক্টোবর সাহিত্য, ৯ অক্টোবর শান্তি এবং ১২ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
অন্যান্য বছর যেমন ডিসেম্বরে জাঁকালো আয়োজনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়, এবার করোনা ভাইরাসের প্রভাবের কারণে তেমনটা হচ্ছে না। আগামী বছরের মধ্যেই করোনা মহামারি শেষ হবে বলে আশা করছে নোবেল কমিটি। তাই ২০২১ সালের নোবেল বিজয়ীদের সঙ্গে চলতি বছরের বিজয়ীদের পুরস্কারপ্রাপ্তি উদ্যাপনের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ১৯০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত চিকিৎসাবিজ্ঞানে ১১০টি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ১২ জন নারী। চিকিৎসাবিজ্ঞানে পুরস্কারজয়ীদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী ফ্রেডেরিক জি ব্যানটিং। ১৯২৩ সালে পুরস্কার জয়ের সময় তাঁর বয়স ছিল ৩২ বছর। আর ১৯৬৬ সালে ৮৭ বছরে পুরস্কারটি পান পেটন রউস। তিনি সবচেয়ে বেশি বয়সে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পান।
আগামীনিউজ/জেহিন