ঢাকাঃ ভারতের মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্দিতে একটি বহুতল ভবন ধসে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ জন আটকা পড়েছেন। এরই মধ্যে সেখান থেকে জীবিত এক শিশুকে উদ্ধার করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আজ সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর চারটে নাগাদ ভিওয়ান্দির প্যাটেল কম্পাউন্ড এলাকার একটি তিনতলা বাড়ি হঠাৎ করেই ধসে যায়। প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজ শুরু করেন স্থানীয়রা।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ডিজি সত্য নারায়ণ প্রধান জানিয়েছেন, ভোর পাঁচটা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তার দল। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা ২০-২৫ জনকে উদ্ধারও করা হয়। এনডিআরএফের আরও দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তারইমধ্যে ধ্বংসস্তূপ থেকে এক শিশু উদ্ধার করেছেন এনডিআরএফের উদ্ধারকারীরা।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই জানায়, ‘ভিওয়ান্দিতে বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০। আরও পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
স্থানীয়রা বলছেন- ধ্বংসস্তূপ যত সরানো হবে, ততই মৃত্যুর খবর বাড়বে। কারণ ঘটনার সময়কাল ভোররাত হওয়া বাড়ির বাসিন্দারা ঘুমিয়েছিলেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ১০ বছরের পুরোনো ‘অবৈধ’ ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ার পরে গতকাল রাতেই ২২টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে কিছু লোক তাঁদের জিনিসপত্র সংগ্রহের জন্য ওই বহুতল ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন।
সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ জানিয়েছেন, ভবনটি এরই মধ্যে ভেঙে পড়ায় তার ভেতরেই আটকা পড়ে যান তাঁরা। এতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন সিরাজ আনোয়ার আনসারি (২৩) ও মোহাম্মদ আকিব আনসারি (২২)। ভবনটি ভেঙে পড়ার পর গুরুতর আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভারতের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী ভবনটি ভেঙে পড়ার পরেই উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভবনটি ১০ বছরের পুরোনো। বেআইনিভাবে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ভিওয়ান্দি-নিজামপুর মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বহুতল ভবনটি ভেঙে পড়ার কারণ খতিয়ে দেখা হবে।
দুর্ঘটনার পরে ভিওয়ান্দি-নিজামপুর পৌর করপোরেশনের কমিশনার অশোক রাংকম্ব বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ‘অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বহুতল ভবনটি আগে খালি করে দেওয়া হয়েছিল। তবে কিছু লোক বিনা অনুমতিতে ওই ভবনে ছিলেন।’
আগামীনিউজ/মিথুন