ঢাকাঃ মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট প্রবীণতম বিচারপতি রুথ ব্যাডার গিন্সবার্গ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী বিচারপতি ও নারী অধিকারের অনন্য চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি। ৮৭ বছর বয়সে ক্যান্সারের কাছ হার মেনে চিরতরে বিদায় নেন গিন্সবার্গ। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। খবর বিবিসির।
এক বিবৃতিতে আদালত জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার(১৮সেপ্টেম্বর)) রাজধানী ওয়াশিংটনে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গিন্সবার্গ। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তার কাছেই ছিলেন। এ বছরের শুরুর দিকে ক্যান্সারের জন্য কেমোথেরাপি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন গিন্সবার্গ।
খবরে বলা হয়, মার্কিন উদারপন্থিদের মধ্যে অন্যতম নারীবাদী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত গিন্সবার্গ। ২৭ বছর ধরে বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের জাতি ঐতিহাসিক মর্যাদার একজন আইনবিদকে হারাল। সুপ্রিম কোর্টে আমরা একজন প্রিয় সহকর্মীকে হারালাম। আমরা শোক পালন করবো, কিন্তু সাথে এই আত্মবিশ্বাসও থাকবে যে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রুথ ব্যাডার গিন্সবার্গকে আমাদের মতো করেই মনে রাখবে- ন্যায় বিচারের একজন ক্লান্তিহীন ও সংকল্পবদ্ধ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে।
তার মৃত্যুতে আদালতের বিচারপতিদের মধ্যে রক্ষণশীলদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, তার জায়গায় এবার নিজের পছন্দসই রক্ষণশীল কোনো বিচারককে বসানোর চেষ্টা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের বিতর্কিত আইনগুলোর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে সুপ্রিম কোর্ট। গিন্সবার্গের মৃত্যুতে তার উত্তরসূরী নির্বাচন নিয়ে একটি রাজনৈতিক লড়াই শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে। গিন্সবার্গের জায়গায় রক্ষণশীল কোনো বিচারক এলে সুপ্রিম কোর্টের নয় বিচারপতির মধ্যে উদারপন্থিরা বিশাল ব্যবধানে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন। এতে করে কট্টরপন্থি নীতিমালাগুলো ছাড় পেয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আগামীনিউজ/জেহিন