ঢাকাঃ চলতি সপ্তাহের শনি ও রবিবার লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে ভারতের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারতীয় বিশেষ বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার তিব্বতের এক সংসদ সদস্যের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
এপ্রিল থেকে হঠাৎ করেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায়। এরপর গত ১৫ জুন লাদাখ সীমান্তে দুই বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এতে ভারতের অন্তত ২০ সেনা প্রাণ হারান। তবে এ ঘটনায় চীনের কতজন হতাহত হয়েছে তা জানায়নি দেশটি। ১৯৬২ সালে চীন-ভারতের মধ্যে তুমুল সীমান্ত সংঘর্ষের পর দীর্ঘদিন থেকেই শান্ত ছিল এ অঞ্চল।
ওই ঘটনার পর চলতি সপ্তাহে আবারও বিরোধ বেঁধেছে চীন-ভারত সীমান্তে। প্রথমে গত শনিবার, এরপর সোমবার সকালে একে অপরের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলেছে দুই পক্ষই।
তিব্বতের নির্বাসিত সংসদ সদস্য নামগিয়াল দোলকার লাগিয়ারি বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, শনিবার রাতের সংঘর্ষে তিব্বতিয়ান বংশোদ্ভূত এক ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়েছেন। এ সময় স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের (এসএফএফ) আরও এক সদস্য আহত হন।
তবে ভারতীয় গণমাধ্যমে দেশটির কোনও সৈন্য নিহত হওয়ার খবর দেখা যায়নি। ভারত সরকারও এসএফএফের কার্যক্রম সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, গত শনিবার সীমান্তে স্থিতিশীল অবস্থা পরিবর্তনে চীনা সেনারা উস্কানিমূলক সামরিক কর্মকাণ্ড করছিল।
তবে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) বলছে, গত সোমবারের অভিযানে চীনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করেছে ভারত। অঞ্চলটি থেকে দ্রুত ভারতীয় বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তারা।
আগামীনিউজ/জেহিন