ঢাকাঃ জম্মু-কাশ্মীরে আশুরার জুলুসে পুলিশ পেলেটগানের ছররা গুলি নিক্ষেপ করলে কমপক্ষে ১৯ জন আহত হয়েছে। আজ রবিবার (৩০ আগস্ট) হিন্দি টিভি চ্যানেল ‘আজতক’-এর ওয়েবসাইট সূত্রে প্রকাশ, শ্রীনগরে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই জুলুস বের করা হলে পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপের পাশাপাশি পেলেট গান ব্যবহার করে।
গতকাল (শনিবার) কাশ্মীরের বেমিনা এলাকার ওই ঘটনায় জুলুসে অংশগ্রহণ করা ১৯ জন আহত হয়েছেন। এতে বেশ কিছু মানুষ পেলেট গানের ছররা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে প্রকাশ, জুলুস খোমেইনি চকে পৌঁছলে সেখানে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ এসময় জুলুসকে বাধা দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে এবং পেলেট গান ব্যবহার করে। পুলিশের দাবি, কোভিড-১৯ এর জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে সমাবেশ ও মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। পাথর নিক্ষেপের ঘটনার প্রত্যুত্তরে ‘সামান্য বলপ্রয়োগ’ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বাসিন্দাদের দাবি, শোকাহত মানুষজন শান্তিপূর্ণভাবে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় দৈহিক দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন। পুলিশি হস্তক্ষেপ ও বাধার ফলেই গোলযোগ সৃষ্টি হয়।
এদিকে, শ্রীনগরের অন্য এলাকাতেও এধরণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত শালিমার এলাকাতেও জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
গাওকাদাল এলাকাতেও শোকমিছিল বের করার চেষ্টা হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, কোভিড-১৯-এর প্রেক্ষিতে লকডাউন বিধি লঙ্ঘন করছিল বলে কিছু লোকের বিরুদ্ধে কিছু জায়গায় বলপ্রয়োগ করতে হয়েছে।
গত শুক্রবারও পুলিশ আশুরার মাতমকারীদের অনেক জায়গায় থামানোর চেষ্টা করেছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই আটটি থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। বাটমালু, শহীদগঞ্জ, করণনগর, মৈসুমা, কোঠিবাগ, শেরগারি, করলাখুদ, রামমুনশি বাগ থানা এলাকায় তাজিয়া বের করায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়।
এদিকে, আজ রবিবার (৩০ আগস্ট) আশুরাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহাসিক নারিকেল বেড়িয়ায় আনুষ্ঠানিক ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া মিছিল হয়নি বলে স্থানীয় কারবালা কমিটির সম্পাদক সৈয়দ মদত আলী রেডিও তেহরানকে জানিয়েছেন। তাঁরা নিজ নিজ গ্রামে ওই অনুষ্ঠান করেছেন। যদিও প্রশাসনিক বিধিনিষেধের জন্য কারবালায় তাজিয়া মিছিল নিয়ে যেতে না পারায় তিনি আক্ষেপ করেছেন। সূত্র; পার্স টুডে
আগামীনিউজ/এএইচ